শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ৩০ জুন, ২০২১, ০৩:০৮ দুপুর
আপডেট : ৩০ জুন, ২০২১, ০৩:০৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] আউশ ধান চাষে ঝুঁকছে আদমদীঘির কৃষকরা

মমতাজুর রহমান:[২] বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ছাতনী গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গির আলম খাঁন (৬৫) দুই বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছিলেন। গোলায়ও তুলেছেন সে ধান । বর্তমানে কাজ নেই তেমন। আমন রোপন করা হবে জুলাই-আগষ্ঠ মাসে। এই সময় জমিতে কোন ফসল উৎপাদন করা হয় না। সবাই থাকে বিশ্রামে। কিন্তু জাহাঙ্গির বসে থাকেননি। দুই বিঘা জমিতে রোপন করেছেন আউশ ধান। যা স্থানীয় ভাষায় ’বর্ষালী ধান’ হিসাবে পরিচিত।

[৩] এই ধান লাগানোর যুক্তি তুলে ধরে কৃষক জাহাঙ্গির জানালেন, জমিতো পড়েই থাকবে। কৃষি উপকরণের দাম বেড়েছে। আমনের ফলন কম। তাই আমাদের দুই আবাদের উপর নির্ভর না করে আউশ ধান লাগাতে হবে। বাড়তি কিছু আয় হবে। এটা আমাদের জন্য ’বোনাস ফসল’।নশরৎপুর ইউনিয়নের কৃষক গোলাম রব্বানী বলেন, বোরো কাটার পর পরই আউশ ধানের বীজ বপন করা হয়। প্রায় ১৫ দিনের মধ্যেই চারা তৈরি হয়ে জমিতে রোপন করার উপযোগি হয়। এক বিঘা জমিতে এ ধান চাষে উৎপাদন খরচ হয় ৬ হাজার টাকা। ধান পাওয়া যায় ১৬-১৭ মন। ১১৮ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। এই ধান রোপনে আমন আবাদের কোন সমস্যা হয় না। তাই আমিও বর্ষালী ধান রোপন করেছি।

[৪] সরজমিনে গতকাল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেথা যায় অনেক কৃষক ব্যস্ত সময় পার করছে। কেউ জমির আইল কাটছেন, কেউ ইঞ্জিনচালিত ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করছেন, কেউ বা ধানের চারা রোপন করছেন। উপজেলার সদর ইউনিয়নের কৃষক সালাম আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, গেলবচর বানে হামার ঘরে দুই বিঘা জমির আমন ধান নসটো হচে। এব্যারকা বোরো ধানের ফলনও ভাল পাই নাই। তাই বানের ক্ষতি, বোরোর খতি পোষে নিবার জন্য তিন বিঘাত বর্ষালী ধান করচি। একই গ্রামের কৃষক রহমত বলেন, একন মনে করেন সার,তেলের দাম বেশি। ম্যালা রোগ ধরে আবাদে। বোরোত খরচ বেশি। পোষায় না। সোংসারোত আর কোন কামাই নাই। সমিতি থ্যকা ঋণ নেওয়া লাগচে। তাই কসটো করি দুই বিঘা বর্ষালী ধান আবাদ করচি।

[৫] উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েকজন কৃষক জানালেন আউশ ধান চাষ করে তারা লাভবান হচ্ছেন। উপজেলার ছাতীয়ানগ্রামের কৃষি শ্রমিক রফিক বলেন, ’শ্রম বিক্রি করে সংসার চলে। কিন্তু বোরো ধান কাটার পর আমাদের দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হয়। তখন ধার দেনা বা এনজিও থেকে ঋণ নিতে হয়। এখন ওই চিন্তা থেকে রেহাই পেয়েছি। কারন বোরো ধান কাটার পরই আউশ ধান রোপন করছেন কৃষকেরা। তাই আমরা শ্রম বিক্রি করতে পারছি। এখন আর বসে থাকতে হয় না।

[৬] আদমদীঘি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, এ বছর উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সেচের ওপর চাপ কমাতে কৃষকদের বোরো চাষ বাড়াতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য এবার আউশ চাষে উপজেলার কৃষকদের ৩৬০ শত কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি ধান বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমইওপি সার দেওয়া হয়েছে।তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী বর্তমানে আদমদীঘি উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে এক শতক জায়গার উপর ৩২টি করে সবজি পুষ্টি বাগান তৈরির প্রক্রিয়া চলমান আছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়