আফসান চৌধুরী: [১] পারিবারিক ইতিহাস থেকে বুঝেছি আমার বাবার দিকের পূর্বপুরুষের নারী-কেলেঙ্কারি ছিলো কম। তবে দুয়েকটা ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়। তেমনি একজন আমার দাদার চাচা লেভেলে স্ত্রী থাকতে অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করে। একটি বিবাহিত কন্যা ছিলো তাদের। সেই লোকের বাবা তাকে জমিদারিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং পুত্রবধূর দায়িত্ব নেয়।
[২] পুত্রবধূ এর পরপরই ঘর থেকে বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দেন এবং সারাদিন নামাজ কালামে ব্যস্ত থাকতেন। এক মহিলা ছিলো যে তার দেখা শোনা করতো। এছাড়া তিনি বের হতেন না এবং কারও সঙ্গে দেখা করতেন না। মেয়ের অনেক দূরে বিয়ে হয়েছিলো, বছরে একবারের বেশি দেখা হতো না।
[৩] যে মহিলা তাকে দেখতেন তিনি একদিন শশুরকে জানান যে, সেই মহিলা চিল্লায় বসে মাটি থেকে ওপরে উঠে যেতেন। অর্থাৎ তিনি ধ্যানমগ্ন অবস্থায় ভাসমান থাকতেন। তার শশুর এই কথা শুনে বিভিন্ন আলেমদের সঙ্গে দেখা করেন। তারা জানান যে, ঐশী শক্তি এসেছে তার ভেতর, এই সময় যেন কেউ ডিসটার্ব না করে। তাই বিশেষ দারোয়ান বসানো হয় গেটে।
[৪] তবে কাউকে কথাটা বলা হয়নি। একদিন, অনেকদিন পর মেয়ে মাকে দেখতে এসে, মা মা করে ঘরে ঢুকে যায়। তার মা তখন সাধনার শক্তিতে ছাদের কাছে ভাসমান ছিলেন। মেয়ের গলা শুনে ধ্যান ভেঙে যায় এবং তিনি ওপর থেকে পড়ে হাড্ডি গুড্ডি ভেঙে মরহুম হন। [৫] এরপর অনেক দিন পর্যন্ত আহলে বিবির গানের আসর হতো জমিদারিতে সেই পাক নারীর স্মরণে কিন্তু একসময় মিলিয়ে যায়। লেখক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
আপনার মতামত লিখুন :