শিরোনাম
◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩০ জুন, ২০২১, ০১:৩৬ রাত
আপডেট : ৩০ জুন, ২০২১, ০১:৩৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সমালোচনা করার অধিকার আপনারও আছে

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন: ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নয়’ ড. সলিমুল্লাহ খানের এই কথা যেমন সঠিক তার চেয়ে বেশি সঠিক হলো তিনি যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান সেটিকে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নয় বললেও কম বলা হবে। তিনি যেই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়ে কখনো কিছু বলেছেন? সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যাধিক মাত্রার ছাত্র বেতন নিয়ে কিছু বলেছেন? একটি বিশ্ববিদ্যালয় হতে হলে সেটির প্রধান অঙ্গ হলো শিক্ষার্থীদের আবাসিক ব্যবস্থা থাকা। বাংলাদেশের কোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক ব্যবস্থা নেই। আজ পর্যন্ত তিনি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করেছেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান, গবেষণার মান, শিক্ষার্থীদের আবাসিক ব্যবস্থার মান, লাইব্রেরির মান ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে আমিসহ আরো অনেকেই লিখেন। কিন্তু আপনি আপনার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েতো বলেনই না এমনকি বাংলাদেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েও তেমন সমালোচনা করতে দেখি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সমালোচনা করার অধিকার আপনারও আছে এবং সেইটা নিয়ে আমি কোনো আপত্তি করছি না। ঢাকা আপনারও বিশ্ববিদ্যালয়। তবে নিজের চাকরির দরজা খোলা রাখার জন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সমালোচনা না করাটা কী যুক্তিযুক্ত? সমালোচনা করেন কিন্তু নিজের চাকরিটা নিশ্চিত রেখে নিরাপদ রেখে করেন আরকি।

তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মন্তব্যে আমার কোনো দ্বিমত নেই। আমি বলতে চাচ্ছি বড় স্কেলে দেখলে আমাদের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও কোন বিশ্ববিদ্যালয় না। তিনি যেহেতু ওখানে কাজ করেন তাই তাদের দায়িত্ব আছে। শিক্ষার্থীরা মান সম্পন্ন শিক্ষা পাচ্ছে কিনা, পর্যাপ্ত আবাসিক সুবিধা পাচ্ছে কিনা, ভালো মানের শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে কিনা ইত্যাদি দেখভালের দায়িত্ব তার আছে। তিনি বলেছেন। কিন্তু তাকে আরো বেশি বলতে হবে। কেন টিউশন ফী এতো বেশি? কেন ট্রাস্টি বোর্ড সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের ইন্ডাস্ট্রির মতো ট্রিট করে এবং বিপুল অর্থ মিটিং-এ উপস্থিত থেকে এনভেলপ মানি হিসাবে নিয়ে যায়। এইসব যদি তিনি না বলেন কে বলবে? প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ট্রাই-সেমিস্টার চালু খুবই অন্যায়। এটি করা হয়েছে সারা বছর ধরে টাকা কামানোর ধান্দায়। শিক্ষকদের কর্মচারির মতো ব্যবহার করতে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় মানে শিক্ষকদের অন্তত ২ থেকে ৩ মাসের নির্ভেজাল ছুটি দেওয়া যেন তারা গবেষণা করতে পারে। বছরে দুই সেমিস্টার হলে ছাত্ররাও উপকৃত হয়। একটু লম্বা সময় ধরে পড়াটা ধরে রাখলে মগজে ঢোকে। এই বিষয়েও তার কোনো মন্তব্য কখনো শুনিনি। আমাদের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক-ট্রাস্টি বোর্ড সম্পর্ক হলো কলকারখানার মালিক শ্রমিক সম্পর্কের মতো যারা সর্বদা কেবল লাভ দেখে। লেখক : শিক্ষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়