আবদুল হাকিম : [২] আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের পণ্য ও সেবা রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করবে বলে আশা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
[৩] এর আগে ২০২১ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষমাত্রা পাঁচ বছর আগে নির্ধারণ করেছিলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
[৪] এর মধ্যে প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন রপ্তানিকারকরা।
[৫] করোনা সংক্রমণ মোকাবেলা করে উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় এ পরিমাণ রপ্তানি সম্ভব হবে বলে মনে করছেন রপ্তানিকারক ও অর্থনীতিবিদরা।
[৬] করোনা সংক্রমণের কারণে গত অর্থবছর নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির পর চলতি অর্থবছর ধীর প্রবৃদ্ধির কারণে ২০১৬ সালে নির্ধারিত লক্ষমাত্রা থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার কাটছাঁট করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
[৭] ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, 'চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৮.৫ থেকে ৩৯ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা রপ্তানি থেকে ৬.৫ বিলিয়ন ডলারের মত আয় হতে পারে। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছর প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হতে পারে এবং আগামী অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি আশা করছি।
[৮] করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত সময়ে কৃষি পণ্য রপ্তানিতে ১৬ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে। আগামী অর্থবছর এ খাতে ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করেছে ইপিবি।
[৯] ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে এ বছর এখন পর্যন্ত ৫৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, আগামী বছর খাতটিতে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করছে সংস্থাটি।
[১০] মহামারির বছরে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি পরিস্থিতি সব সময় ইতিবাচক ছিল। এমনকি আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের চাহিদা পূরণ করতে দেশীয় পাটকলগুলো কাঁচামাল সংকটে পড়েছে। পাট ও পাটপণ্য রপ্তানিতে মে পর্যন্ত ৩৩ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। নতুন অর্থবছর খাতটিতে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে মনে করছে ইপিবি।
আপনার মতামত লিখুন :