মাসুদ আলম: [২] মঙ্গলবার র্যাব সদর দফতরে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা যেভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছি এতে জঙ্গিবাদের স্থান বাংলাদেশে হবে না। তাদের থেকে আমরা এক ধাপ এগিয়ে আছি, বলেই এখন কোনো জঙ্গি সহিংসতা ঘটছে না । র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত আড়াই হাজার এবং শুধুমাত্র হলি আর্টিজান হামলার পরে দেড় হাজার জঙ্গি গ্রেপ্তার করে।
[৩] তিনি বলেন, র্যাবের কাছে ১৬ জন জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছে। তাদেরকে ডি-রেডিক্যালাইজেশনের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ করতে চাইলে তাদেরকেও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
[৪] র্যাব ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, জঙ্গিদের কার্যক্রম দুর্বল হলেও মাঝেমধ্যে র্যাবের বা বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে জঙ্গিরা গ্রেপ্তার হচ্ছে। সাইবার জগতে জঙ্গি কার্যক্রমের মনিটরিং করা হচ্ছে।
[৫] তিনি বলেন, জঙ্গিদের এখন মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সংঘটিত হওয়া। তবে তারা সংগঠিত হতে পারছে না। যখনই তারা অনলাইনে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই আমরা তথ্য পাচ্ছি এবং তাদের গ্রেপ্তার করছি। আমাদের এখানে যে জঙ্গিরা আছে তারা হোম গ্রো (দেশীয়ভাবে) তৈরি। বিদেশি জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগের এখনো কোনো তথ্য আমরা পাইনি। আমাদের দেশের জঙ্গিরা অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিও দেখে এবং দেশের জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংঘটিত হওয়ার চেষ্টাকালে আমরা খবর পেয়ে যাচ্ছি। এর ফলে আর কোনো বড় ধরনের জঙ্গি হামলার ঘটনা দেশে ঘটছে না।
[৬] হলি আর্টিজানের মতো এরকম আর কোনো ঘটনা ঘটলে সেক্ষেত্রে ওই ঘটনা মোকাবিলায় র্যাবের কতটুকু সক্ষমতা রয়েছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিজি বলেন, আমরা বলেছি, এখন তাদের সেই ক্যাপাসিটি আছে বলে মনে করি না। তবে যেকোনো ধরনের হামলার জন্য আমরা কিন্তু প্রস্তুত আছি।
[৭] মাদক ইস্যুতে তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরা অপ্রচলিত কিছু মাদক দেখতে পাচ্ছি। তাদেরকে গ্রেপ্তার করছি। এরই মধ্যে ৪৬ হাজারের বেশি মাদক-কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
আপনার মতামত লিখুন :