হারুন-অর-রশীদ: [২] দেশজুড়ে সীমিত পরিসরে লকডাউন চলছে। গণপরিবহন বন্ধ রেখে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রয়েছে। আর এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ফরিদপুরের কর্মস্থলে ছুটে যাওয়া মানুষ।
[৩] মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকালে ফরিদপুরে আফিসগামী মানুষের ভোগান্তির এ চিত্র দেখা যায়। এদিন রাস্তায় যানবাহনের জন্য অফিসগামী যাত্রীদের ভিড় করতে দেখা যায়। কিন্তু কোনো ধরনের গণপরিবহন না থাকায় তাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাই বাধ্য হয়েই অনেকে বেশি ভাড়ায় রিকশা, ভ্যান, ভাড়ায় বাইক বা পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।
[৪] দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পণ্যবাহী যান চলাচল করছে ফরিদপুরে। সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেকে বাধ্য হয়ে এসব যানবাহনেও উঠেছেন।
[৫] অফিসগামী মিরান মিয়া বলেন, সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলাগুলোতে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে অনেকে পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপে উঠছেন।
[৬] শহরে কাজ করা আব্দুল করিম নামের একজন বলেন, সরকার লকডাউন ঘোষণা করছে। আবার অফিস খোলা আছে। এটা কেমন লকডাউন। করোনায় আমাদের জীবনের ঝুঁকিও আছে, তারপরেও বাধ্য হয়েই অফিসে আসতে হয়। চাকরি গেলে করোনার মধ্যে পরিবার নিয়ে বিপদে পড়ে যাব। তাই ২০ টাকার বাস ভাড়া ১০০ টাকা দিয়ে রিকশায় আসতে হচ্ছে। কে দেখবে আমাদের এই দুর্দশা?
[৭] বেসরকারি সংস্থার এক কর্ম কর্ত া বালেন, তিনি সালথার গট্টি থেকে যাবেন শহররের জনতা ব্যাংক মোড় এলাকায়। লকডাউন হোক, আর হরতাল সব থেকে বেশি কষ্ট আমাদের মত মধ্যবিত্তদের। যাদের নিজস্ব গাড়ি আছে, তাদের জন্য লকডাউন নেই। কিন্তু আমার মত যারা বাসে যাতায়াত করি, তারা কিভাবে অফিসে যাব, এটা কেও ভাবেনা।
[৮] বেশিরভাগ অফিসগামী মানুষের দুর্দশার চিত্র একইরকম। হেঁটে কিংবা বেশি ভাড়া দিয়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। তাদের দাবি অফিস খোলা রাখলে তাদের যেন যাতায়াতের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :