এমদাদুল হক : [২] গত এক সপ্তাহ যাবৎ হঠাৎ করে সংক্রমণে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। জেলায় এপর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগ ৬৬৬৩ জনের নমুন পরীক্ষা করেছে। এদের মধ্যে ১৬০৯ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং ৪৫৩৭ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। ৩৫ জনের মৃত ও ১৩১৫ জন সুস্থ হয়েছে। বর্তমানে ২৫২ জন হোম ও ৮ জন হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছে। ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ড. রতন কুমার ঢালী এই তথ্য জানিয়েছে।
[৩] জেলায় প্রায় দুই সপ্তাহ পর জেলা প্রশাসন মাক্স ব্যবহারে জনগণকে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভ্রাম্যমান আদালত জোড়ালো ভাবে মাঠে নেমেছে। সোমবার শহরে মাক্স না থাকা পথচারী ও যানবাহন চালক ও যাত্রীদের মধ্যে মাক্স বিতরণ করেছে।
[৪] এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছু সময় প্রায় ৫০ টি অটোরিক্সা আটক রেখে ছেড়ে দিয়েছেন। এছাড়া তিনটি দোকানে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে ৩০০০ টাকা জরিমানা করেছেন। জেলার এনডিসি আহমেদ হাসানের নেতৃত্বে চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট্র ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন। সারাদেশ জুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর ঢেউ ঝালকাঠিতে পৌছালেও সাধারণ জনগণের মধ্যে মাক্স ব্যবহার সহ স্বাস্থ্য বিধি ২৫% এর বেশি মানুষ মানছে না । এর ফলে সংক্রমণের হারও বেড়ে চলেছে। প্রশাসনিক পর্যায় মাক্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে কঠোর মনভাব নিয়ে মাঠ না নামলে অবস্থার উন্নতি হবে না।
[৫] জেলায় সীমিত পরিসরে লকডাউন শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে গণপরিবহ ও শপিংমল ও মার্কেটগুলো বন্ধ রয়েছে। তবে সীমিত পরিসরের লকডাউনের মধ্যেও রাস্তায় ও বাজারে মানুষের ভিড় রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না অনেকেই। গাদাগাদি করে ছোট যানবাহনে যাতায়াত ও বাজারে কেনাকাটা করছেন জনসাধারণ। এতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
[৬] সকাল থেকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও তথ্য অফিসের উদ্যোগে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এদিকে ঝালকাঠি-বরিশাল রুটে যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
আপনার মতামত লিখুন :