শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৮ জুন, ২০২১, ০৩:০৯ রাত
আপডেট : ২৮ জুন, ২০২১, ০৩:০৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] দুই প্রখ্যাত নারী অধিকারকর্মীকে মুক্তি দিল সৌদি আরব

নিউজ ডেস্ক: [২] দু’জন প্রখ্যাত নারী অধিকারকর্মীকে মুক্তি দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির কর্তৃপক্ষ প্রায় তিন বছর আগে তাদের গ্রেফতার করে। তারপর থেকে তারা বন্দি ছিলেন। আল-জাজিরা জানিয়েছে, তাদের মুক্তির খবর নিশ্চিত করেছে একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী।

[৩] সৌদি আরবের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা লন্ডনভিত্তিক সংগঠন এএলকিউএসটি আজ রোববার এক টুইট বার্তায় খবরটি জানিয়ে লিখেছে, ‘দণ্ড শেষ হওয়ায় মানবাধিকারকর্মী সমার বাদাভি এবং নাসিমা আল-সাদাহ আজ মুক্তি পেয়েছেন।’

[৪] ২০১৮ সাল থেকে সৌদি আরব শান্তিকামী মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু করে। ওই বছরের আগস্টে এই দুজন নারী অধিকারকর্মীকে গ্রেফতার করে দণ্ড দেওয়া হয়। তারপর থেকে তারা বন্দি ছিলেন। তাদের মতো আরও কয়েক ডজন অধিকারকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বেশিরভাগকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। তারা নারীর গাড়ি চালানো ও পুরুষ অভিভাবকদের আধিপত্যের অবসানের মতো মানবাধিকার ইস্যুগুলো নিয়ে সরব হয়েছিলেন।

[৫] সদ্য মুক্তি পাওয়া দুই অধিকারকর্মীর মধ্যে বাদাভি ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড’ পান। নারীদের ভোটাধিকার, গাড়ি চালানো ও স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থীতার মতো বিষয় নিয়ে সৌদিতে তিনি প্রথম একটি পিটিশন শুরু করেন। তার বোন রাইফ বাদাভিও একজন প্রখ্যাত মানবাধিকারকর্মী। এক ব্লগ পোস্টে ‘ইসলামকে অবমাননার’ অভিযোগে ২০১৪ সালে যাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই থেকে তিনি কারাগারে বন্দি। বোন মুক্তি পেলেও তার মুক্তি মেলেনি।

[৫] অপরদিকে আল-সাদাহ সৌদি আরবের শিয়া অধ্যূষিত কাতিফ প্রদেশের বাসিন্দা। তিনিও নারীদের গাড়ি চালানো ও পুরুষ অভিভাবকের অনুমতির বাধ্যবাধকতার মতো আদিম আইনের বিরোধিতায় ছিলেন সরব। আর সে কারণেই তাকে গ্রেফতার করেছিল কর্তৃপক্ষ। ব্যাপক দাবির মুখে সৌদি আরব ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো নারীদের স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিলে সাদাহ নির্বাচনে অংশ নেন। কিন্তু তাকে কর্তৃপক্ষ নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়নি। তার নাম প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

[৬] ২০১৮ সালে সৌদি ব্যাপক ধরপাকড় অভিযানের অংশ হিসেবে ইমান আল-নাফজান, লৌজাইন আল-হাথলৌল, আজিজা আল-ইউসুফ, আয়েশা আল-মানেয়া, ইব্রাহিম মোদেইমিগ ও মোহাম্মদ আল-রাবেয়ার মতো অধিকারকর্মীকে গ্রেফতার করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়