সুজিৎ নন্দী: [২] রাজধানীর গাবতলী পার হয়ে আমিন বাজার গেলে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস আর এম্বুলেন্স। দারুসালাম মোড় ও তার আশেপাশে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ৩শ’ মটর সাইকেল। যাত্রী নিয়ে যাবে তাদের গন্তব্যে। এদিকে মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া, অন্যদিকে নারায়নগঞ্জ-কুমিল্লা যাওয়া যাচ্ছে।
[৩] ঢাকাতেও প্রবেশ করছে এম্বুলেন্স ও মাইক্রোবাসে হাজার হাজার মানুষ। ঢাকাতে আসা এবং ঢাকা থেকে দূরপাল্লাই যাওয়া বড় কোন সমস্যা নয়। আর আমিনবাজার ও গোলাপবাগ থেকে রাতে দূরপাল্লার বাস চলাচল করে। ভাড়া তিনগুন।
[৪] বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ার ঘোষণায় ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। অন্যদিকে জীবিকার জন্য এখনো ঢাকামুখীও হচ্ছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। এ কারণে রোববার সকাল থেকে শিবচরে বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে দেখা গেছে মানুষের ভিড়।
[৫] অন্যদিকে রাজধানীতে সকাল থেকে শুরু হয়েছে যানজট। ঢাকা ছাড়া মানুষগুলো রিক্সা, সিএনজি, বাস, কাভার্ড ভ্যান, লেগুনার ভীড়ে ট্রাফিক পুলিশ হিমসিম খাচ্ছে। বিশেষ করে গাবতলী, দারুসসালাম, কল্যানপুর, আসাদগেট, ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট, ফার্মগেট, বাংলামটর, শাহবাগ, পল্টনমোড়, কাকরাইল মোড় বড় ধরনের যানজট তৈরি হয়েছে।
[৬] সকাল থেকে শপিং মল, সুপারশপের পাশাপাশি বাজারগুলোতে প্রচন্ড ভীড় দেখা যায়। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বেড়েছে। সরেজমিনে এরকম চিত্র দেখা যায়।
[৭] সদরঘাটে ঢাকার বাইরে যাওয়া একাধিক যাত্রী জানায়, কঠোর লকডাউনে পড়লে ঢাকায় থাকা কষ্ট। কাজ জোটে না। বেকার বসে থাকতে হয়। তাই বাড়িতে যাই। সেখানে থাকলে ঢাকার মত এত খরচ হবে না।
[৮] ট্রাফিক বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সড়কে মানুষের চাপ অনেক বেশি। সবকিছু বন্ধ হওয়ার আগে মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যেতে চাইছে। এ কারণেই সড়কে প্রচুর মানুষ। তারা আরো জানান, ঢাকা থেকে কোনো বাসকে সাইনবোর্ড পার হতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে পিকআপ, ট্রাকসহ পণ্যবাহী যান ছাড়া হচ্ছে। রোগী, জরুরি সেবা, বিদেশগামী ব্যক্তিদের যেতে দেওয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :