শাহীন খন্দকার: [২] করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ১ লাখ ৩৮৫৭ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হয়েছে পুরুষ ১৩৪৮ জনকে আর নারী ৭১৮ জনকে, মোট ২০৬৬জনকে। এগুলো পুরোটাই দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন।
[৩] ভারত থেকে এ পর্যন্ত দেশে ভ্যাকসিন এসেছে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ। সেই হিসাবে কোভিশিল্ড টিকা মজুত আছে আর মাত্র ৮৬,৪৫৫ ডোজ।
[৪] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪২ লাখ ৮৩,৮৪২জন । আর প্রথম ডোজ নেওয়া ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জনের মধ্যে ১৪ লাখের বেশি মানুষের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছ সংকট। এদের সবাইকেই অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও দুই কোম্পানির দুই ডোজের টিকা গ্রহণের কোনও সিদ্ধান্ত দেয়নি।
[৫] শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, লাইন ডিরেক্টও এইচআইএসএণ্ড ই-হেলথ এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান।
[৬] শনিবার মহানগরীতে চীনের সিনোফার্মের প্রথম ডোজ টিকা পুরুষ নিয়েছে ৬০২-নারী ৭৮৬ জন মোট ১৩৮৮ জন। সারাদেশে এপর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে ৬৭৮৪ জনের মধ্যে পুরুষ নিয়েছে ২৭৫৭ আর নারী নিয়েছে ৪০২৭জন। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে পুরুষ ২১-নারী ২৯ মোট ৫০ জন। এপর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে ৩৯৮৭২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ ৪১৮ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
[৭] এদিকে গত সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৩৬০ জনকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়। প্রাথমিক টিকাগ্রহীতাদের পর্যবেক্ষণ শেষে ৭ থেকে ১০ দিন পর অন্যদের এই টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আপনার মতামত লিখুন :