কূটনৈতিক প্রতিবেদক : [২] শনিবার দুপুরে টুইটে এ তথ্য জানিয়ে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার লিখেছেন, কোভ্যাক্সের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী হিসেবে করোনা মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে টিকার সরবরাহ বাড়ানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ।
[৩] গত মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে লেখা চিঠিতে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন পাঠানোর বিষয়ে জানান।
[৪] পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার অতিরিক্ত ৬০ মিলিয়ন ডোজ টিকা রয়েছে। সেটা তারা ব্যবহার না করায় আমরা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন চেয়েছি। চেয়েছি।
[৫] যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমরা অকোভ্যাক্সের বাইরেও তাদের কাছ থেকে আমরা ভ্যাকসিন সহযোগিতা চেয়েছি। সেটা হোক অনুদান অথবা ক্রয়, আমরা চাই তারা আমাদের ভ্যাকসিন দিয়ে সহযোগিতা করুক।
[৬] তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও যুক্তরাজ্যে, কানাডা, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও সুইডেনে অতিরিক্ত ভ্যাকসিন মজুদ থাকায় দেশগুলোকে চিঠি দিয়ে ভ্যাকসিন কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে দেশগুলোর সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
[৭] পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ১০ থেকে ২০ এপ্রিল চিঠি পাঠলেও দেশগুলো থেকে এখনও কোনো সাড়া পাওয়া জায়নি বলে জানিয়েছেন মোমেন।
[৮] তিনি বলেন, যে কোনো একটি বা দুটি উৎস থেকে টিকা পেলে প্রথম ডোজ পাওয়া ব্যক্তিদের দ্বিতীয় ডোজ পেতে সমস্যা হবে না।
[৯] ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সূত্র বলছে, বাংলাদেশের করোনার আক্রান্তের হার ও মৃতের সংখ্যা তূলনামুলকভাবে কম থাকায় বাংলাদেশ অগ্রাধিকার তালিকায় না থাকলে এখন দেশটি ভ্যাকসিন পাঠতে চাচ্ছে। এটা আমাদের সম্মিলিত চেস্টার ফসল।
[১০] ভ্যাকসিন চেয়ে এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারের সঙ্গেও বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সে সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, এ জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
[১১] কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের পাশাপাশি এশিয়ার ১৮টি দেশকে নতুন করে ১ কোটি ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউস। এ ছাড়া বিশ্বের আরও ৩০টি দেশ ও জোটকে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এক কোটি ৪০ লাখ টিকা দেবে, সেই তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :