ফরিদ আহমেদ: [২] সাতক্ষীরা শহর সংলগ্ন ধুলিহর, ব্রক্ষ্মরাজপুর ও ফিংড়ী ইউনিয়নের চোরেরা লকডাউন মানছে না। এলাকায় প্রতি রাতে হচ্ছে চুরি ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্ম। ইতোমধ্যে ব্রক্ষ্মরাজপুরের বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছোবহান সরদারের বাড়িতে চেতনা নাশক দ্রব্য স্প্রে করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেছে।
[৩] একইভাবে ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউনিয়নের রামচঁন্দ্রপুর গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমান (হবির) বাড়িতে, ব্রক্ষ্মরাজপুর বড়খামার গ্রামের আবদুল্লা মুহুরির বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরি হয়েছে। ব্রক্ষ্মরাজপুর গ্রামের ওহিদের বাড়ি থেকে ব্যাটারি চালিত ভ্যান চুরি হয়েছে।
[৪] ব্রক্ষ্মরাজপুর দহাখোলা ইনছাফের মৎস্য ঘেরে বিশ দিয়ে মাছ চুরি, একই এলাকার রনির বাড়ি থেকে ইজি বাইকের ব্যাটারি চুরি হয়েছে।
[৫] ধুলিহর ইউনিয়নের আরশাদের বাড়ি থেকে ৬ বস্তা ধান, লিটন মিস্ত্রীর বাড়ি থেকে মটর, ইমরানের বাড়ি থেকে এক জোড়া কবুতর, মিন্টুর বাড়ি থেকে ব্যাটারি চালিত ভ্যান চুরি হয়েছে।
[৬] চোরেরা মসজিদুল আকসা মসজিদের মটর চুরি করেছে। ফিংড়ী ইউনিয়নের বালিথা গ্রামের যবুলীগ নেতা আব্দুর রাজাকের বাড়ি থেকে ব্যাটারি চালিত ভ্যান চুরি ও বালিথা আলমগীরের বাড়ি থেকে বাই সাইকেল চুরি হয়েছে। এই ৩ ইউনিয়নের মানুষ এখন রাত হলেই চুরি ও ছিনতাই আতংকে ভুগছে।
[৭] এলাকার সচেতন মানুষদের ধারণা, পেশাদার চোর ছাড়াও জেলায় ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে অব্যাহত লকডাউনের কারনে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের কেউ কেউ এবং স্কুল কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নতুন করে মাদকাশক্ত হয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ এসব চুরির সঙ্গে জড়িয়ে পড়তে পারে।
[৮] এব্যাপারে ব্রক্ষ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই তন্ময় জানায়, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ চিহ্নিত চোর ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত ও গ্রাম পুলিশদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :