কামাল হোসেন : [২] করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী সোমবার থেকে সারাদেশে ১সপ্তাহের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। আর এ ঘোষণায় রাজধানী ঢাকা ছেড়ে বাড়ী ফিরছে হাজারো মানুষ। ফলে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে ঘরমূখো মানুষের চাপ বেড়েছে। শনিবার (২৬ জুন) দুপুর ১২ টার দিকে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসাবে পরিচিত দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।
[৩] সরেজমিন দুপুরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে দেখা যায়, ঢাকা ও আশেপাশের জেলার কর্মজীবী মানুষ পাটুরিয়া প্রান্ত থেকে ফেরিতে গাদাগাদি করে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে দৌলতদিয়া প্রান্তে এসে চলমান লকডাউনে গণপরিহণ না পেয়ে পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে। পড়ে অতিরিক্ত কয়েকগুন বেশি ভাড়া দিয়ে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মটরসাইকেল, মাহিন্দ্র, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন বাহনে করে যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন। এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষও ঢাকায় ফিরছে, তবে ঘাটে ছোট গাড়ির চাপ থাকলেও নেই কোন সিরিয়াল। পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় সরাসরি ফেরিতে উঠতে কোনো বেগ পেতে হচ্ছে না। এছাড়া গোয়ালন্দে আজ ৫ম দিনের মত ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হচ্ছে লকডাউন। ঘাটে আসা কিছু যাত্রীদের মূখে মাস্ক দেখা গেলেও অধিকাংশ মানুষের মুখেই নেই মাস্ক। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ঘাট এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন কোন তৎপরতাও দেখা যায়নি।
[৪] যশোরগামী আশরাফুল ইসলাম বলেন, সোমবার থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। ধারণা করছি এ ঘোষণা আরো বাড়বে তাই আগে থেকেই বাড়ি ফিরছি। গাবতলী থেকে ৫শ টাকা ভাড়া দিয়ে মটরসাইকেলে করে পাটুরিয়া এসে ফেরিতে করে ঘাটে এসেছি। এখান থেকে একাই ১হাজার টাকা মটরসাইকেল ভাড়া ঠিক করেছি বাড়ি যাওয়ার জন্য।
[৫] বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ জানান, বর্তমানে এ নৌরুটে ১৪টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ফেরি চলাচল করায় যাত্রীরা ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। তাছাড়া যাত্রী পারাপার বন্ধে আমাদের কোন নির্দেশনা নেই।
[৬] উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় ২২জুন থেকে মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এবার আগামী ২৮ জুন সোমবার থেকে সারা দেশে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা করেছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :