সমীরণ রায়: [২] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া তার মেয়াদের শেষ দিনে ৩৬ জন শিক্ষক এবং ৫৫৪ জন তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে নিয়োগ দেন। পরে তা সিন্ডিকেট সভায় বাতিল হয়। এরই প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষক, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা।
[৩] শনিবার সকাল থেকে ভিসির রুমের সামনে অবস্থান নেন তারা। পরিস্থিতি সামলাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করলেও সিদ্ধান্ত দিতে পারছে না। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ব্যাপারে আশ্বাস দিতে পারছেন না ভিসি নিজেও।
[৪] এক কর্মচারী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব নিয়ম মেনে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হয়েছে। এমনকি মেসেজের মাধ্যমে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। তাহলে এখন নিয়োগ বাতিল হবে কেন?
[৫] আন্দোলনরতরা বলেন, তিন মাস পর্যন্ত প্রজ্ঞাপনের জন্য অপেক্ষা করেছি, আমরা কেউ বেতন তুলিনি। হাঠাৎ করে ২৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মিটিংয়ে নিয়োগ বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদেই আমরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছি।
[৬] বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন সেন্টারে গত বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২তম সিন্ডিকেট সভায় এসব নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।
[৭] নিয়োগ জটিলতা বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সিন্ডিকেট সভায় যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা নিয়ে আমি নতুন করে মন্তব্য করতে চাই না। আগামী সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :