মোশারফ হোসেন: অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিতসা ও কাজের ব্যবস্থা করবে। সে রকম রাষ্ট্র বাংলাদেশ না। যত সংকট তার একটাই সমাধান, সেটা হলো সে রকম একটা রাষ্ট্র তৈরি করা। যেখানে সকল মানুষের অধিকার সংরক্ষিত থাকবে।
সরকারকে কারা টাকা দেয়?
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর এবং সরকার আয় করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এর বাইরে অনুদান, আন্তর্জাতিক সহায়তা, ইত্যাদির মাধ্যমে সরকারের আয় হয়।
সরকারের আয় প্রয়োজন মেটাতে পারে কিনা?
নাগরিকের কাছ থেকে সরকার আয় করে নানাভাবে। অনেকে মনে করেন যাদের টি আই এন আছে তারাই খালি কর দেয়। আসলে তা নয়। যে কোন পণ্য, সেবা গ্রহণ করার সময় যে পণ্য মূল্য যে কোন ব্যক্তি দেয় তার আয় থেকে সরকার কাছে কর, ভ্যাট যায় যেটা দেয় মুলত যে কিনে সে। আবার যে যেখানেই শ্রম বিক্রি করে তা দিয়ে মালিকেরা যে আয় করে তা থেকে যে কর, ইত্যাদি সরকারি কোষাগারে যায় তাতে শ্রম যারা দেয় তারা মূলত সেটা তৈরি করব। তাই সকল নাগরিক সরকারকে টাকা দেয় আর অধিকারও সব মানুষের জন্য।
এখন নাগরিকের প্রয়োজন মেটাতে সরকার গুরুত্ব কিসে দিবে তা জবাবদিহিতা কতটুকু রাষ্ট্র করতে বাধ্য থাকে তার উপর নিরভর করে, যা আমাদের দেশে মোটেও নাই।
কল্যাণমূলক বা সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা
সরকারে যারা যাবে, তাদের রাজনৈতিক নীতি রাষ্ট্রের চরিত্র কি হবে তা নির্ধারণ করে। আমাদের দেশে সে ধরনের রাজনৈতিক দলের প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন কমেছে আর তাই মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠাও পাচ্ছে না। অনেক কিছু নিয়ে নাগরিকদের সংবেদনশীলতা দেখা গেলেও রাজনৈতিক মতবাদ হিসেবে তাদের সচেতন অবস্থান ততটুকু নেই বলেই আমার ধারণা; আবার যে সব দল নাগরিক অধিকার রক্ষার কথা বলে তাদের নিজেদের মাঝে অনেক সংকট দূর করতে না পারাও সে ধরণের রাজনীতির বিকাশ না ঘটার একটা কারণ। যদিও অনেকেই সে ধরণের রাজনীতি করেছেন অতীতে, একটা আকংখাও ধারণ করেন; কিন্তু তারা রাজনীতি বিমুখ হয়ে থাকার কারণে সেই শক্তিটাও কোন কাজে আসছে না। আমার ধারণায় অন্তত তাদের একটা রাজনৈতিক কণ্ঠ সামনে আসা দরকার সরাসরি যেখানে কল্যাণমূলক মৌলিক অধিকারের রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে তারা এক হয়ে কাজ করবেন। ঝুঁকি তো থাকবেই আর তাই এটা শুরুতে অল্প মানুষের সমাবেশ ঘটাবে। কিন্তু এটাই সকল সংকট সমাধানের প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে। রাজনৈতিক নীতি হিসেবে মৌলিক অধিকারের প্রতিষ্ঠার বিষয়কে প্রাধাণ্য দেয়া তাই এ সময়ের দাবি। (ফেইসবুক পোস্ট থেকে সংগৃহিত)
আপনার মতামত লিখুন :