শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ২৫ জুন, ২০২১, ১২:০৫ রাত
আপডেট : ২৫ জুন, ২০২১, ১২:০৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শারফিন শাহ্: পড়ার সময় না পড়ে মানুষকে জ্ঞান দিয়ে তারকা হলেও তার ভবিষ্যৎ অন্ধকার

শারফিন শাহ্: ২০১৫ সালেও ছাত্রছাত্রীদের শেখার প্রতি আগ্রহ ছিলো, জানার প্রতি টান ছিলো, কোনো বিষয়ে গভীরে যাওয়ার তৃষ্ণা ছিলো। এখন সেটা আটকে গেছে আন্তর্জাতিক সংস্কৃতিতে। একটা আইফোন বা স্মার্টফোন হাতে নিয়ে তারা দুনিয়ার সবকিছুর ওপর ক্ষমতা প্রদর্শন করে বেড়াচ্ছে। সেদিন এক ছেলেকে বললাম, তোমার সামনে ভর্তি পরীক্ষা, এখন স্মার্টফোন দিয়ে কী করবে? ও বললো, আপনি কী বুঝবেন? স্মার্টফোনেও পড়া যায়। স্মার্টফোনে পরীক্ষার পড়া কী পড়া যায় আর না যায় সেটা আমি জানি না, এমন একটা ব্যাপার! এরকম সবখানে ছোটরা বড়দের জ্ঞান দেয়! এটা নিয়ে বলে, ওটা নিয়ে বলে। কখনো ভিডিও করে, টিকটক করে। অনলাইনে ব্যস্ত রাখার জন্যে আছে কিছু মোটিভেশনাল স্পিকার, ইউটিউব স্টার, ফেসবুক স্টার। সেদিন দেখলাম, এক ইউটিউব স্টার তার মাকে গাড়ি কিনে দিয়ে সেটার ভিডিও করে ছেড়েছে। কেঁদেকেটে একাকার। এই কান্না দেখিয়ে অবশ্য তার আয় বেড়েছে। হায়রে।

মা-বাবার চোখের জল নিয়েও ব্যবসা। তাদের বয়স নিতান্তই কম, তারা স্বাধীনতা পেয়ে সব বিষয়ে জ্ঞান দেয়, সবকিছুকে উপস্থাপন করে নানা রঙে আর ঢঙে। আর এসব দেখেই যাদের কাজ শেখা, তারাও নেমে পড়ে তারকা হওয়ার পথে। অভিনয় করতে গেলে যে শিখতে হয়, লিখতে গেলে যে লেখালেখির ব্যাকরণ জানতে হয়, উপস্থাপক হতে গেলে যে উপস্থাপনার কৌশল জানতে হয় তা নিয়ে কেউ ভাবে না। কেবল একটাই চাওয়া তারকা হতে হবে।

মাঝেমধ্যে এই হঠাৎ জেগে ওঠা তারকারা সামান্য লাভের আশায় দেশ, সমাজ, পরিবারের ভয়াবহ রকম ক্ষতি করে ফেলেন। মজার বিষয় হচ্ছে, তারা কিছুতেই বুঝতে চায় না যে তারা কোনো ক্ষতির জন্যে দায়ী। উল্টো আরও জ্ঞান দেবে। ফেসবুকে তারকা উপস্থাপক হিসেবে আরজে কিবরিয়া আর আরজে নীরব বাদে আর কারও উপস্থাপনার জ্ঞান আছে বলে মনে হয় না। তাদের কথাবার্তা, উপস্থাপনা আর বিষয়বস্তু নির্বাচনের সঙ্গে কারও মিল নেই। অথচ তাদের টপকে ছোট ভাই, গেদু ভাই, কদু ভাইয়ের মতো কারও কারও বিকৃত উপস্থাপনা বেশি জনপ্রিয়। এমনকি যাদের সুন্দরভাবে কথা বলার যোগ্যতা নেই তারাও তারকা বনে গেছেন। কিছুদিন আগে কাকলী ফার্নিচার নিয়ে কী হলো?

এই স্রোত সহজে থামবে না। নিজ দায়িত্বে আপনার পরিবারের শিশুদের এই স্রোতে ভেসে যাওয়া থেকে রক্ষা করুন। তাদের পড়ান, শেখান, জানান। তারপর ছেড়ে দিন। তা না হলে জীবনের অর্ধেক গেলে তারাই আপনাকে গালি দিয়ে বলবে, আব্বু-আম্মু আমার এই অবস্থার জন্যে দায়ী। পড়ার সময় না পড়ে মানুষকে জ্ঞান দিয়ে তারকা হলেও তার ভবিষ্যত অন্ধকার। একটা কথা সবসময় সত্যি বই পড়া ছাড়া আর ভ্রমণ করা ছাড়া জীবন গড়ার আর কোনো সুন্দর পথ নেই। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়