শওগাত আলী সাগর: ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে পরিচিত ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে রূপান্তরিত হয়ে ‘সেকেন্ড জেনারেশনে’র ‘ডেল্টা প্লাস’-এর আর্বিভাবকে স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবেই দেখছেন কানাডীয়ান বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস যতো বেশি ছড়াবে, ততোই নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট জন্ম নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচুয়ানের গবেষক অ্যালিসন কেলভিন মনে করেন রূপান্তর বা মিউটেশন হচ্ছে ভাইরাসের জীবনের অপরিহার্য এবং স্বাভাবিক ঘটনা। এটি প্রতিনিয়তই হচ্ছে। ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবার গবেষক জেসন কিন্ডারচুকের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, কোভিড ভাইরাস যখন একজন মানুষকে সংক্রমিত করে, তখনই তার জন্য একটি রূপান্তরের সুযোগ তৈরি হয়।
ভাইরাস যতো বেশি মানুষকে সংক্রমিত করে ততো বেশি এর রূপান্তরের বা মিউটেট হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। তার মতে, কোভিডের নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট বা রূপান্তর ঠেকাতে হলে এর সংক্রমণ ঠেকাতে হবে। যদি কেউ প্রশ্ন করেন, কোভিড ভাইরাসের এতো ভ্যারিয়েন্ট কেন হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে? তার একটাই উত্তর, এতো বেশি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে বলেই কোভিড ভাইরাস এতো রূপান্তরের সুযোগ পাচ্ছে, এতো ভ্যারিয়েন্ট বা মিউটেশনের মাধ্যমে নতুন জেনারেশনের ভাইরাসের জন্ম দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে। তারা বলছেন, কোভিডের কোনো ভ্যারিয়েন্টই এখন পর্যন্ত দুই ডোজ ভ্যাকসিনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া প্রতিরোধ সক্ষমতাকে এড়িয়ে যেতে পারছে না। কিন্তু সিঙ্গেল ডোজের এন্টিবডির সঙ্গে লড়াইয়ে কোভিড জয়ী হয়েছে, এমন তথ্য আছে। আর এটি উদ্বেগের, কেননা সিঙ্গেল ডোজের এন্টিবডির সঙ্গে লড়াইয়ে কোভিড ভাইরাস তার শত্রু সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যায় এবং নিজের ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করে। এই কারণে সিঙ্গেল ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া প্রত্যেককে ভ্যাকসিনহীন মানুষের মতো সতর্কতা নেওয়া দরকার বলে তারা মনে করছেন। লেখক : কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক
আপনার মতামত লিখুন :