সুজন কৈরী: [২] নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকা থেকে জ্বালানী তেল চোরাই চক্রের ২ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। জব্দ করা হয়েছে সাড়ে ১৩ হাজার লিটার জ্বালানী তেলভর্তি ট্যাংক লরী। আটকরা হলেন- বাহাউদ্দিন ওরফে বাতেন (৪৮) এবং আঃ. সাত্তার ওরফে সোহাগ (৩৮)।
[৩] বুধবার দিবাগত রাতে র্যাব-১১ এর সিপিএসসি’র একটি দল সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই দুজনকে আটক করে।
[৪] বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১১ জানিয়েছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে র্যাব জানতে পেরেছে, একটি সংঘবদ্ধ চোরাই চক্র দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসাধু উপায়ে জ্বালানী তেলের উপজাত পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ ন্যাপথা সংগ্রহ করে পেট্রোল পাম্পগুলোতে সরাবরাহ করছে। ন্যাপথা মূলত ক্যামিকেল কোম্পানীগুলোতে ব্যবহার করা হয়। ইঞ্জিন চালিত গাড়ীতে ব্যবহৃত জ্বালানী তেল পেট্রোলের তুলনায় ন্যাপথার বাজার মূল্য অনেক কম হওয়ায় চোরাই চক্র অবৈধভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পেট্রোলের সাথে ন্যাপথা মিশিয়ে গাড়ির মালিকদের কাছে বিক্রি করে প্রতারণামূলকভাবে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। জ্বালানী তেল পেট্রোলের সাথে মিশ্রিত পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ ন্যাপথা ব্যবহারের ফলে গাড়ির ইঞ্জিন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
[৫] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর ওই চোরাই চক্রকে সনাক্ত করে র্যাব-১১। এরই প্রেক্ষিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চট্টগ্রামগামী রাস্তার উপর চেকপোষ্ট স্থাপন করে জ্বালানী তেলবাহী বিভিন্ন ট্যাংক লরী তল্লাশীকালে সাড়ে ১৩ হাজার লিটার চোরাই পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ ন্যাপথা ভর্তি ১টি লরীসহ ২ জনকে হাতে-নাতে আটক করা হয়।
[৬] চোরাই জ্বালানী তেলের উপজাত পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ ন্যাপথা পরিবহনের বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে আটকরা কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি।
[৭] এরপর র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আটকরা জানান, তারা সংঘবদ্ধ তেল চোরাই চক্রের সক্রিয় সদস্য। ড্রাইভার ও হেলপার পেশার ছদ্মবেশ ধারন করে দীর্ঘদিন ধরে তারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসাধু উপায়ে ক্যামিকেল কোম্পানীতে ব্যবহৃত জ্বালানী তেলের উপজাত পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ ন্যাপথা সংগ্রহ করে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হতে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পেট্রোলিয়াম পাম্পগুলোতে সরাবরাহ করছেন।