শিরোনাম
◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন

প্রকাশিত : ২৪ জুন, ২০২১, ০৭:২৮ বিকাল
আপডেট : ২৪ জুন, ২০২১, ১১:০৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে উৎপাদন হচ্ছে ১৫৫ মিলিমিটার শেল

বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগে সামরিক অস্ত্র উৎপাদনের একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ি তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ব রেপকর্ন কোম্পানির সহযোগীতায় বাংলাদেশ অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে ১০৫ ও ১৫৫ মিলিমিটার শেল উৎপাদন করবে বাংলাদেশ।

[৩] তুরস্কের বার্তা সংস্থা এনাডুলো জানায়, তুরস্কের সঙ্গে ক্রমেই বাংলাদেশের সামারিক সহযোগীতা বাড়ছে। বিশেষ করে সামরিক প্রযুক্তি হস্তান্তরে বাংলাদেশকে অগ্রাধীকার দিচ্ছে তুরস্কা। সম্প্রতি তুরস্কের পরলরাষ্ট্র মন্ত্রী মেভলাট বাংলাদেশ সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগীতার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বাংলাদেশে অস্ত্র উৎপাদনের কারখানা গড়ার জন্যও আগ্রহ দেখান।

[৪] এনডুলা জানায়, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এই ৪ মাসে তুরস্ক সারা বিশ্বে অস্ত্র রফতানি করেছে ১ বিলিয়ন ডলারের। এরমধ্যে বাংলাদেশ ৬০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ক্রয় করেছে। তাদের হিসাবে তুরস্কের অস্ত্র রফতানির ৪ তুর্থ বড় ক্রেতা বাংলাদেশ। ২০২১-২২ সালের বাজেটে বাংলাদেশ প্রতিরক্ষাখাতে ৪.৪৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে।

[৫] সংস্থাটির খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি একটি প্রকল্প নিয়েছে এ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল ও আকাশ প্রতিরক্ষা যন্ত্রপাতি উৎপাদনের। এই প্রকল্পটির মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত। প্রাথমিকভাবে ২০১৬ সালে এই প্রকল্পে চীন যুক্ত থাকলেও২০২১ সাল পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন অগ্রগতি হয়নি। এখন প্রকল্পটিতে সহযোগীতা করছে তুরস্ক। বিশেষ করে সামরিক হার্ডওয়্যার, নেভী ও বিমানবাহিনীর হার্ড ওয়ার ইতিমধ্যে সরবরাহ করেছে তারা। খুলনা শীপইয়ার্ডে নৌবাহিনীর ড্রাইভিং সাপোর্ট ৩ টি বোট নির্মাণ করে দিয়েছে তুরস্ক।

[৬] বাংলাদেশ ইতমধ্যেই তুরস্ক থেকে টিআরজি ৩০০ নামের স্বল্প পাল্লার রকেট ক্রয় করেছে তুরস্ক থেকে যার নাম কাপলান এমএলআরএস । এটি ১২০ কিরোমিটার দুরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম। এর রকেট পরিচালনার জন্য ৪১ সদস্যের বাংলাদেশি একটি সামরিক দলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে তুরস্কোর সেনাবাহিনী। এছাড়াও তদুরস্কোর সঙ্গে সমারিক সহযোগীতা বৃদ্ধির জন্য বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী প্রধান ছাড়াও উচ্চ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা তুরস্ক সফর করেছেন। এই সময় তারা তুরস্কের বিভিন্ন সমারিক স্থাপনা ঘুরে দেখেন ও সামরিক অস্ত্র প্রদর্শনিতেও অংশ নেন।

[৭] এব্যাপারে সামরিক বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার (অব) জেনারেল শাখাওয়াত হোসেন বার্তা সংস্থাটিকে জানান, সম্প্রতি তুরস্কের জয়েন ভেঞ্চারে মিসাইল ও এয়ারক্রাফট তৈরীর প্রস্তাবটি দিয়েছেন তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। তিনি বলেন, এটি খুবই ভাল প্রস্তাব। তবে চুক্তি নাহওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন কিছু বলা ঠিকনা। কারণ তুরস্ক একটি ন্যাটোভূক্ত দেশ। তাদের সামরিক সক্ষমতা রয়েছে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে তুরস্ক উন্নত বিশ্বের প্রযুক্তির সমকক্ষ। তাদের প্রযুক্তি দিয়ে যদি বাংলাদেশ অস্ত্র উৎপাদনে যায় তবে তা রপ্তানিও করা যাবে।

[৮] উল্লেখ্য, ডিফেন্স টেকনোরজি নামের একটি অনলাইন দাবি করেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে খুব শ্রীঘ্রই যুক্ত হতে যাচ্ছে ১৫৫ মিলিমিটারের হাউইৎজার কামান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়