আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসিসি) প্রতিবেদনে আগামী কয়েক দশকের মর্মান্তিক বাস্তবতার পূর্বাভাস এসেছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী দশকগুলোতে অপুষ্টি, পানির নিরাপত্তাহীনতা ও মড়কের মতো বিষয়গুলো মানুষকে ভোগাবে। নিউজ ইনফো
[৩] সম্ভাব্য সংকটের মাত্রা কমিয়ে আনতে উদ্ভিদ থেকে পাওয়া খাবারের ওপর নির্ভরতা বাড়ানোর মতো নীতি গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরনের নীতি গ্রহণ করা হলে সেগুলো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে পারে। তবে স্বল্প মেয়াদে অনেক স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে না। এ ছাড়া শস্য উৎপাদন কমে যাওয়া, মৌলিক খাবারের পুষ্টিগুণ কমে যাওয়া এবং ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি বিশ্বের সবচেয়ে অসহায় মানুষগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। রয়টার্স
[৪] এতে বলা হয়েছে, মানুষ কতটা কার্যকরভাবে কার্বন নিঃসরণ ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বিষয়টি সামাল দিতে পারবে, তার ওপরই ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। আজ যে শিশুটি জন্ম নিচ্ছে, ৩০ বছর বয়স হওয়ার আগেই তাকে নানাবিধ স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়তে হতে পারে।
[৫] প্রতিবেদনে পানি চক্র ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে। তা হলে সাব-সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলে বৃষ্টিনির্ভর শস্য উৎপাদন কমে যাবে। এ ছাড়া ভারতের যেসব এলাকায় ধান উৎপাদন হয়, তার ৪০ শতাংশের মতো এলাকায় উৎপাদনক্ষমতা কমে যেতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ১৯৮১ সালের তুলনায় বিশ্বে ভুট্টা উৎপাদন ইতোমধ্যে ৪ শতাংশ কমে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :