শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ২৩ জুন, ২০২১, ০৯:১৩ রাত
আপডেট : ২৩ জুন, ২০২১, ০৯:১৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ‘মানবিকতা’র আড়ালে তুমুল লাভের অঙ্ক পকেটে পুরছে ভারতের দুই ফার্মা জায়ান্ট

লিহান লিমা: [২] মহামারীকালে টিকা উৎপাদনে মানবিকতার মুখোশ পরার যে দাবি ভারতের টিকা উৎপাদকরা করেছিলেন তার আড়ালে তারা হয়ে ওঠেন মোটা লাভের অঙ্ক গোনা খাঁটি ব্যবসায়ী। ফ্রন্টলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভারতের টিকার বাজার ‘দ্বৈপলি’র খপ্পরে পড়েছে। ভারতের প্রায় সব টিকার সরবরাহ আসছে দুইটি বড় কোম্পানি থেকে। একটি আদর পুনেওয়ালার সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ও অপরটি কৃষ্ণা এলার ভারত বায়োটেক।

[৩] দ্য ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনে উঠে আসে, এই দুটো কোম্পানি তাদের টিকা বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা বলে প্রচারণা চালাচ্ছে অথচ বাস্তবে এই দুটি সংস্থাই বিশ্বের টিকা উৎপাদনকারী যে কোনো কোম্পানির চেয়ে সবচেয়ে বেশি লাভ করছে। স্ক্রলের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে সেরাম ইনস্টিটিউট টিকার প্রতি ডোজ বিক্রি করে ২ হাজার শতাংশ মুনাফা ও ভারত বায়োটেক ৪ হাজার শতাংশের বেশি মুনাফা করে। যেখানে ফাইজার ও মর্ডানা মুনাফা করে ৬৫০ শতাংশ থেকে ৫০০ শতাংশ।

[৪] দ্য ইন্টারসেপ্ট বলছে, ভারত বায়োটেকের প্রতিষ্ঠাতা কৃষ্ণা এলা সম্ভবত অত্যন্ত ব্যয়বহুল পানি পান করেন কারণ পূর্বে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার কোম্পানির উৎপাদিত টিকা একটি পানির বোতলের চেয়েও সস্তা হবে। আর এখন কোম্পানিটি প্রতিটি ডোজের জন্য গলাকাটা দাম নিচ্ছে। সরকারি হাসপাতালে তারা প্রতি ডোজের দাম রাখছে ৪০০ রুপি, আর প্রাইভেট হাসপাতালে এর দাম তিনগুণ বেশি। এমনকী সরকারী বিধি-নিষেধ সত্ত্বেও ভারত বায়োটেক নিজেদের বাণিজ্যিক টিকা রপ্তানির পরিধি বাড়িয়েছে।

[৫] সেরামের কোভিশিল্ডের মতো কোভ্যাক্সিন কোনো বড় ফার্মার পেটেন্টের বিধি-নিষেধের মধ্যে নেই। কোভ্যাক্সিনের মেধাসত্ত্বের একটি অংশে ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গত মাসে নরেন্দ্র মোদীর কাছে লেখা চিঠিতে টিকার মনোপলি ব্যবসা বন্ধে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে বলেছেন ভারত বায়োটেকের ফর্মুলা ব্যবহার করে দেশের ফার্মাগুলো যেনো টিকা উৎপাদন করে।

[৬] সমালোচকরা বলছেন, মুক্ত বাজারে টিকা ছেড়ে ভারত সরকার নাগরিকদের দরকষাকষি বা ক্রয়ক্ষমতাকে নষ্ট করে দিয়েছে যার ফলে লাভবান হয়েছেন পুঁজিপতিরা।

[৭] দ্য ইন্টারসেপ্ট অনুসারে, সরকারের টিকা বিতরণে মুক্তবাজার নীতির প্রতিটি পদক্ষেপে ভারতের স্বাস্থ্যসেবা খাতের পুঁজিপতিরা অধরা থেকে গিয়েছেন। ভারতের বড় এই ফার্মাগুলো মহামারীকে বাজারে নিজেদের শেয়ার মজবুত করতে ব্যবহার করেছে। তাদের মুনাফা বেড়েছে ও মারাত্মক বৈষম্যে ভোগা একটি দেশের আর্থিকভাবে জর্জরিত বেশিরভাগ মানুষের জন্য টিকা নিতে একটি অর্থের দেয়াল তৈরি করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়