শিমুল মাহমুদ : [২] খুলনা বিভাগে প্রতিদিন করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। গতকাল বিভাগের কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে গত এক দিনে রেকর্ড ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সারাদেশে মারা গেছে ৮৫ জন। শনাক্ত হয়েছে আরো শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৭২৭ জন।
[৩] দেশে শুধু জুন করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬০ হাজার ৬৬০ জন। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় সংক্রমণ অনেক বেড়েছে। চলতি সপÍাহে সংক্রমণ বেড়েছে বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহ ও রংপুর। শুধু রাজশাহীতে সাপ্তাহিক হিসেবে শনাক্তের হার কমেছে। এ ছাড়া, কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় আছে সিলেট। এক সপ্তাহে বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে খুলনায়।
[৪] নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ি ঢাকা বিভাগে শনাক্তের হার ১৭.৪৬ শতাংশ, ময়মনসিংহে ১৪.৬১, চট্টগ্রামে ২০.৫৯, রাজশাহীতে ১৮.০৪, রংপুরে ৩৪.৪৬, খুলনায় ৩৯.৭২, বরিশালে ২২.৪৩ ও সিলেটে ২২.২৬। সংক্রমণে শীর্ষে থাকা জেলার মধ্যে রয়েছে, খুলনা বিভাগে- চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ, খুলনা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও সাতক্ষীরা। ঢ্কাা বিভাগের ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ি, টাঙ্গাইল। রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, ঠাকুরগাও, কুড়িগ্রাম, বরিশালে বিভাগেন, বরিশাল ও ঝালকাঠি।
[৫] বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বলেন, ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে অনেক বেড ও আইসিইউ খালি আছে। তবে, সীমান্ত এলাকার হাসপাতালগুলোর চিত্র ভিন্ন। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে অনেক বেশি। কোয়ারেন্টিনের সংখ্যা বাড়ছে।
[৬] প্রতিনিধিরা জানান, বাস্তবে খুলনার পরিস্থিতি তারচেয়ে আরও বেশি ভয়াবহ। খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালসহ সেখানকার অন্তত তিনটি হাসপাতালে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী আছে বর্তমানে। রয়েছে, চিকিৎসক ও নার্স সংকট, সেই সঙ্গে আইসিইউ, অক্সিজেন।
আপনার মতামত লিখুন :