সমীরণ রায় : [২] বুধবার বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ভবন সংলগ্ন সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দেশের বরেণ্য খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নাট্যশিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন।
[৩] বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ই শুধু নয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের যত ইতিবাচক অর্জন সবই হয়েছে আওয়ামী লীগের শাসনামলে। বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের ইতিহাস এই তিনটি নাম একই সূত্রে গাঁথা। টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিশ^দরবারে উচ্চ মর্যাদায় আসীন হয়েছে বাংলাদেশ। দল হিসেবে এশিয়ার বৃহত্তর ঐতিহ্যবাহী অবস্থান ধরে রেখে, জনকল্যাণে কাজ করে চলেছে আওয়ামী লীগ।
[৪] তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। এক সময়ের ঋণ গ্রহীতা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশকে আর্থিক ও মানবিক সহায়তা করে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত, সোনার বাংলা রূপান্তরের স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তান কারাগার থেকে দেশে ফিরে দ্রুত যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুননির্মাণ শুরু করেন এবং দ্রুত অর্থনীতির জন্য বিভিন্ন সেক্টরে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেন।
[৫] এর আগে ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
[৬] সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও অন্যতম মুখপাত্র অভিনেত্রী তারিন জাহান এর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ সভাপতি চিত্রনায়িকা রোজিনা, চিত্রনায়ক সাকিল খান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও অন্যতম মুখপাত্র অভিনেত্রী তারিন জাহান, অভিনেত্রী তানভিন সুইটি, চিত্রনায়িকা শাহনুুর, লায়ন মো. মিজানুর রহমান, ড. সেলিনা আক্তার, সাংবাদিক সুজন হালদার, জয়দেব রায়, চিত্রপরিচালক মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বুলবুল, রাজ সরকার, সাংবাদিক অপূর্ব সহ জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :