চৌধুরী হারুনুর রশীদ : [২] রাঙামাটিতে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, সংক্রামণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ও মাস্ক নিশ্চিতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
[৩] সেই সুযোগে (২২ জুন) তারিখে রাঙমাটি পার্বত্য জেলায় জেলা প্রশাসনের সিনিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবদুর রহমানের নেতৃত্বে রাঙমাটি জেলা পুলিশের সহযোগিতায় রিজার্ভ বাজার এলাকায় পরিচালনা করা হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। পর্যটক রাখার অপরাধে আবাসিক হোটেল জেরিনকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। সড়ক পরিবহণ আইনে হেলমেট ব্যবহার না করায় ৫শ টাকা এবং মাস্ক ব্যবহার না করায় ২ জনকে ২ মামলায় ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ৪টি মামলায় জরিমানা করা হয় ৫ হাজার ৭০০ টাকা।
[৪] রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুর রহমান জানান, পর্যটন স্পট বন্ধ থাকা সত্বেও কেউ কেউ হোটেলগুলোতে পর্যটক রাখছে, যারা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ও হচ্ছে।উল্লেখ্য যে, রিজার্ভ বাজার এলাকায় এই হোটেল জেরিনে আবাসিক হোটেলের আড়ালে প্রকাশ্যে অসামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে আসছে অনেদিন ধরে। পাশাপাশি নিয়মিত জুয়া খেলার ও ইয়াবা সেবন এবং নানান অনৈতিক কাজের জন্যও রুম ভাড়া দেওয়া হয় ।
[৫] হোটেল মালিক আব্দুল মালেক হোটেলটি মাসিক ৫০ হাজার টাকায় জনৈক আবছার ও ফরিদ এবং সাজু বেগমকে ভাড়া দেয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জনৈক আবছার একটি রোমানা ফ্লাওয়ার আটা-ময়দা কোম্পানীর বিক্রয় কর্মী, সেই জেলার পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীতে আটা ময়দা সাপ্লাই দেয়। আশে-পাশের মানুষ বা দোকানদার তার এ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলে সেই সরকারী বাহিনীর সাপ্লাইয়ার এ সুবাদে তাদের হুমকি ধামকি প্রদান করে হরহামাশা।
[৬] এ ছাড়া বিভিন্ন বাহিনীর কর্মরত সদস্যদের নিত্যদিন তার হোটেলে আসা যাওয়া এবং তার সাথে সখ্যতা দেখেও এলাকাবাসী শংকিত ও ভীতস্থ থাকে সবসময়। কিছুদিন আগেও পতিতা ব্যবসার দায়ে এ হোটেল জেরিনকে সমিতির পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
[৭] প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এরা ২ জনই পুর্ব থেকে নারী ব্যবসা করে আসছিল শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে। এ বিষয়ে থানা সহ জেলার বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ন আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হয় এলাকাবাসী ।
সম্পাদনা: মারুফ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :