লিহান লিমা: [২] প্রশান্ত মহাসাগরের অন্তর্গত অস্ট্রেলিয়ার কুইনসল্যান্ডের উপকূলের অদূরে অবস্থিত গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বিশ্ব ঐতিহ্য থেকে বাদ দিয়ে ‘বিপদাপন্ন’ তালিকায় রাখতে চায় ইউনেস্কো। বিবিসি/গার্ডিয়ান
[৩] সংস্থাটি বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য বছরের পর বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই প্রবাল প্রাচীর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ১৯৯৫ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত অর্ধেক প্রবাল নষ্ট হয়ে গেছে। তাই তারা বিশ্ব হেরিটেজ তালিকায় এই রিফকে রাখতে চাইছে না।
[৪] গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের ক্ষতির কথা স্বীকার করে অস্ট্রেলিয়ার সরকার বলেছে, জানিয়েছে, তারা চায় না বিশ্ব হেরিটেজ তালিকা থেকে এই রিফকে বাদ দেয়া হোক। দেশটির পরিবেশমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি মানছি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রিফের ওপর পড়েছে। কিন্তু এটিকে বিশ্বঐতিহ্যের তালিকা থেকে বাদ দেয় অনুচিত।’
[৫] আগামী মাসে চীনে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বৈঠক হবে। সেখানে ইউনেস্কোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাবে অস্ট্রেলিয়া। যদি ইউনেস্কোর সুপারিশ মেনে নেওয়া হয়, তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রথম কোনো প্রাকৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ‘বিপদাপন্ন’ তালিকায় স্থান পাবে।
[৬] দুই হাজার ৩’শ কিলোমিটার লম্বা গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ বিশ্বের সবচেয়ে বড় একক কাঠামো, যার মধ্যে প্রাণিসত্তা আছে। এটি মহাশূন্য থেকে স্পষ্ট দেখা যায়। এটি প্রায় ৯০০টি ছোট-বড় দ্বীপ এবং প্রায় ৩ হাজার প্রবালপ্রাচীর নিয়ে গঠিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ১৮ মিলিয়ন বছর আগে সৃষ্টি হয়েছে। ১৯৮১ সালে এটি বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায়। প্রতিবছর প্রায় ৫০ লাখ পর্যটক এই রিফ দেখতে ভিড় করেন, যেখান থেকে বছরে ৪৮০ কোটি ডলার আয় করে অস্ট্রেলিয়া।
[৭] বিশ্বের তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হারে বাড়তে থাকলে ২১০০ সালের মধ্যে এই রিফের মৃত্যু ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বিজ্ঞানীরা।