আব্দুল্লাহ মামুন: [২] গাজীপুর জেলার সীমান্ত এলাকা জৈনাবাজার ইউটার্নে ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী যানবাহন আটকে দেওয়া হচ্ছে। তবে, পণ্যবাহী যান, রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ও পোশাক শ্রমিক বহনকারী গাড়ীগুলোকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না।
[৩] মঙ্গলবার সকাল থেকে লকডাউন কার্যকর রাখতে পুলিশও মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশিচৌকি বসিয়েছে। গণপরিবহন থেকে শুরু করে কোনো যানবাহনই চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। যানবাহন না পেয়ে অফিসগামী মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
[৪] উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় হাইওয়ে ও থানা–পুলিশ আলাদাভাবে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনের গতিরোধ করছে। যানবাহনগুলো পুলিশ ঘুরিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মস্থানে যাওয়া মানুষ। পরে বাস থেকে নেমে কেউ হেঁটে কেউবা রিকশায় উঠে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন।
[৫] চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় সকাল সাড়ে নয়টায় কথা হয় একটি তৈরি পোশাক কারখানার উৎপাদন কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আশুলিয়া এলাকায় একটি কারখানা তিনি চাকরি করেন। প্রতিদিনই চন্দ্রা এলাকা থেকে বাসে গিয়ে অফিস করেন। কিন্তু কোনো যানবাহন না পেয়ে এখন রিকশা দিয়ে যেতে হবে।’
[৬] কোনাবাড়ী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর গোলাম ফারুক বলেন, ‘রাতে কিছু গাড়ি রাস্তায় যানজটে আটক ছিল, সেগুলো ভোরে যেতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন কোনো যানবাহনই চলতে দেওয়া হচ্ছে না। সকালে থেকে স্থানীয় কোনো যানবাহন রাস্তায় বেরই হয়নি। কেউ বের হলে তাদের আটকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
[৭] মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ‘ময়মনসিংহের দিক থেকে কোনো যানবাহন গাজীপুরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া কাউকে বের হতেও দেওয়া হচ্ছে না। মহাসড়কে পুলিশের চেকপোস্ট বাসানো হয়েছে।’
[৮] গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি সিদ্ধান্তে গাজীপুরে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।’ আমাদের সময়
আপনার মতামত লিখুন :