শিরোনাম
◈ চট্টগ্রাম বন্দরে সাইফ পাওয়ার টেকের যুগের অবসান, এনসিটির দায়িত্বে নৌবাহিনী ◈ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজের খেলায় তালেবান, পেছনে চীন-রাশিয়া-ইরান-ভারত! ◈ পাকিস্তানকে ঠেকাতে গিয়ে ভারতে বন্যা, তোপের মুখে কঙ্গনা (ভিডিও) ◈ ৫ আগস্ট লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার জাতীয় সংসদ: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ গাজীপুরে মহানগর বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার ◈ দেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় জনগণ ঐক্যবদ্ধ : মির্জা ফখরুল ◈ রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসি, আটক করে ‘চাঁদা দাবি’ ছাত্রদল নেতার, সিসিটিভির ফুটেজ ফাঁস ◈ আর একটি হত্যাকাণ্ড ঘটলে সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ: হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের ◈ ধামরাইয়ে ঋণ দেওয়ার কথা বলে গৃহবধুকে ধর্ষণ, আসামী গ্রেফতার ◈ গাজীপুরে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার বিএনপি নেতা স্বপন

প্রকাশিত : ২২ জুন, ২০২১, ০৪:২৮ সকাল
আপডেট : ২২ জুন, ২০২১, ০৬:৩৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশের হাসপাতালে প্রতি হাজার মানুষের জন্য শয্যা সংখ্যা মাত্র ০.৯৬

কালের কণ্ঠ: দেশের সরকারি হাসপাতালে প্রতি এক হাজার মানুষের জন্য শয্যার সংখ্যা ০.৩২। বেসরকারি হাসপাতালে প্রতি হাজারে শয্যার সংখ্যা ০.৬৪। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে প্রতি এক হাজার মানুষের জন্য হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা মাত্র ০.৯৬। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) সুপারিশ অনুযায়ী প্রতি এক হাজার মানুষের বিপরীতে সাড়ে তিনটি শয্যা থাকতে হবে। সেই হিসাবে আন্তর্জাতিক মানের চেয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোর শয্যাসংখ্যা অনেক কম।

গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান জরিপ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

জরিপে বলা হয়, বেসরকারি হাসপাতালে একজন চিকিৎসকের (ডেন্টাল সার্জন বাদ দিয়ে) বিপরীতে মাত্র ০.৮৫ জন সেবিকা রয়েছে। ডেন্টাল সার্জনদের অন্তর্ভুক্ত করলে প্রতি একজন চিকিৎসকের বিপরীতে সেবিকার সংখ্যা দাঁড়ায় ০.৮৩। শয্যা ও সেবিকার অনুপাতে প্রতি ৩.৪৭টি শয্যার জন্য একজন সেবিকা দায়িত্ব পালন করছেন।

বিবিএস মহাপরিচালক তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যার ব্যুরোর অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. মেজবাহুল আলম এবং অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শশাঙ্ক শেখর ভৌমিক।

বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের কর্মসংস্থানের আকার অনুযায়ী ২০১৮ সালের ৩০ জুন ১৬ হাজার ৯৭৯টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে মোট তিন লাখ ৬৮ হাজার ৫৮০ জন কর্মী নিয়োজিত ছিলেন। এর মধ্যে তিন লাখ ১৫ হাজার ৯৪১ জন (৮৫.৭২ শতাংশ) পূর্ণকালীন এবং ৫২ হাজার ৬৩৯ জন (১৪.২৮ শতাংশ) খণ্ডকালীন। মোট নিয়োজিত জনবলের মধ্যে হাসপাতালে ৫৬.৩২ শতাংশ, রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে ৩৬.৭৯ শতাংশ এবং ক্লিনিকে ৫.৭ শতাংশ জনবল নিয়োজিত ছিল। ডেন্টাল ক্লিনিকে নিয়োজিত জনবল ১.১৯ শতাংশ। এ ছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে পূর্ণকালীন কর্মসংস্থান বাড়ার অনুমিত হার ৯.২৭ শতাংশ, হাসপাতালগুলোর কর্মসংস্থান বাড়ার হার ১২.১৬ শতাংশ, মেডিক্যাল ক্লিনিকগুলোর কর্মসংস্থান বাড়ার হার ৫.৮৯ শতাংশ, রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের কর্মসংস্থান বাড়ারও হার ৫.৩১ শতাংশ এবং ডেন্টাল ক্লিনিকগুলোর প্রবৃদ্ধির হার ০.৮২ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, ‘যদিও বেসরকারি পর্যায়ে হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে, এর পরও দিন দিন আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে। আমাদের স্থূল মূল্য সংযোজনের পরিমাণ বাড়ছে, যা প্রতিবেদনে পরিষ্কারভাবে প্রকাশিত হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মূলত এই জরিপগুলো আমাদের জিডিপি ভিত্তি বছরের জন্যও কাজে লাগবে। আমরা আমাদের নতুন যে জিডিপি দেব সেখানে আমাদের ভিত্তি বছর ধরা হবে ২০১৫-১৬ সাল। সেই হিসাবে বিবিএস অনেক কাজ করছে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়