সুজন কৈরী: [২] ভারতে নারী পাচার চক্রের মূল হোতা নদী নামের এক নারীসহ সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ জুন) নড়াইল ও যশোর সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ।
[৩] তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার হাফিজ আল ফারুক বলেন, ভারতে নারী পাচার চক্রের মূল হোতা নদীসহ সাতজনকে নড়াইল ও যশোর সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের নাম পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। তাদেরকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
[৪] তিনি বলেন, পাচার চক্রের মূল হোতা নদী ভারত ও দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে নারী পাচার করতো। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে হাতিরঝিল থানায় মামলা রয়েছে।
[৫] পুলিশ জানায়, পাচার হওয়া নদীই পরবর্তীতে হয়ে উঠে আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের বাংলাদেশ অঞ্চলের সমন্বয়ক। ভারত, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই পর্যন্ত তার জাল বিস্তৃত। বাংলা, মালয় ও আরবিসহ বহুভাষায় পারদর্শী এই নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে ভারতে গ্রেপ্তার টিকটক হৃদয় বাবুসহ মানবপাচার চক্রের সদস্যদের। সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে অনেক সময় পানশালায় পার্টিতে মশগুল থাকতেন এই নারী।
[৬] ২০১৫ সালে পাচার হয়ে মালয়েশিয়ায় যান নদী। এক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত হোন। তার জালে আটকা পড়ে ভারত, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পাচার হয়েছে বহু শহুরে দরিদ্র কিশোরী ও তরুণী।
[৭] পাচার হওয়া মেয়েদের দেখভালের জন্য প্রায়ই বিদেশে যাতায়াত করতেন নদী। দ্রুত পারদর্শী হয়ে ওঠেন আরবি, হিন্দি, তেলেগু ও মালয় ভাষায়।
[৮] ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি মো. শহিদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, নদী নামে যে মেয়েটির কথা আমরা জেনেছি সে ভারত, মালয়েশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে মানব পাচারে সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে। সে একাধারে বাংলা, মালয়, হিন্দি এবং আরবী ভাষায় কথা বলতে পারে।