সুজিৎ নন্দী : [২] কোরবানির জন্য দেশের বাইরে থেকে গরু আমদানি না করার কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। এবছরও দেশের পশু দিয়েই কোরবানির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আর সেজন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার পশু। দেশীয় গরুতেই চাহিদা পূরণ হওয়ায় বিদেশ থেকে গরু আনা বন্ধে কঠোর নজরদারি রয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্রে এতথ্য জানা যায়।
[৩] মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যাও বেশি। সেজন্য কোনোভাবেই দেশের বাইরে থেকে গরু আনতে দেওয়া হবে না। এজন্য যা যা ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন সব নেয়া হবে। এছাড়া কোরবানির পশু পরিবহনে ঝামেলা এড়াতে প্রয়োজনে রেল ব্যবহার করা হবে। কোরবানির জন্য দেশে এবার পর্যাপ্ত পশু রয়েছে।
[৪] মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশের বাইরে থেকে গরু আনা বন্ধে পশু ও পশু বিক্রেতার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরা, কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ছিনতাই প্রতিরোধ এবং সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে গবাদিপশু অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে জেলা প্রশাসন, জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর, বিজিবিকে কঠোর নির্দেশ দেয়া হবে।
[৫] মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত পশুর সংখ্যা এক কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার। গত বছর এই সংখ্যা ছিল এক কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০টি। যদিও কোরবানি হয়েছিল ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩টি পশু।
[৬] খামারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার ৪৫ লাখ ৪৭ হাজার গরু-মহিষ, ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার ছাগল-ভেড়া এবং অন্যান্য ৪ হাজার ৭৬৫ পশু গবাদি পশু রয়েছে। চলতি বছর মোটাতাজা গরু-মহিষের সংখ্যা ৩৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮শ’টি, ছাগল-ভেড়া ২৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৪৮টি এবং গৃহপালিত গরু-মহিষের সংখ্যা ৬৮ লাখ ৮৮ হাজার ২০০টি, গৃহপালিত ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৪৯ লাখ ৯২ হাজার ২৫২টি।