আনিস তপন: [২] করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ জুন) থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। সোমবার (২২ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
[৩] এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জেলাগুলো ব্লকড থাকবে, কেউ ঢুকতে বা বের হতে পারবে না। একই বিষয়ে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত রোগ সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মানিকগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ জেলায় জনসাধারণের চলাচলসহ সব ধরণের চলাচল বন্ধ থাকবে।
[৪] তবে শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা, জরুরী পরিসেবা (কৃষি উপকরণ সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি এবং খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহণ, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুত, পানি, গ্যাস/জ¦ালানী, ফায়ার সার্ভিস, নদী বন্দরসমূহের কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদেও কর্মচারি ও যাবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাক/লরি এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।
[৫] কি কি বন্ধ থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সবকিছু বন্ধ থাকবে। মানুষও চলাচল করতে পারবে না। মালবাহী ট্রাক এবং অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কিছু চলবে না।
[৬] করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে জেলা করোনা নিয়ন্ত্রণ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছে জানিয়ে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন জানান, আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) থেকে খুলনার সঙ্গে সব জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হবে। এই বিভাগের কয়েকটি জেলায় এখনও পূর্ণ লকডাউন চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে সাতক্ষীরাসহ আরো দুটি জেলার করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলছে।
[৭] রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, এখানে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌছালে রাজশাহীর সিটি করপোরেশন এলাকা ইতোমধ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে মার্কেট, দোকান-পাট ও যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে কাঁচাবাজারের মত জরুরী কিছু জরুরী পরিসেবাস সীমিত পর্যায়ে খোলা রাখা হয়েছে। নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে। তবে প্রয়োজনে এর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হতে পারে।