ইমরুল শাহেদ: তিনি এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন, একটি ছবিতে যদি শাকিব খান থাকেন তাহলে কিছু দর্শক সিনেমা হলে আসে। আর কোনো নির্ভরশীল তারকা নেই বললেই চলে। অপূর্ব রানা বর্তমানে বেশ কয়েকটি ছবি পরিচালনা করছেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘কোভিড-১৯’, ‘গিভ এ্যান্ড টেক’, ‘যন্ত্রণা’ এবং অনুদানের ‘জলরঙ’ ছবিটি। তিনি মূলত বাণিজ্যিক ছবির নির্মাতা।
কিভাবে ভিন্ন ধারার ছবি বানাবেন বা একজন বাণিজ্যিক ছবির নির্মাতা ভিন্ন ধারার ছবি বানাতে গেলে কি ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয় জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এ কথা একেবারেই সত্য যে আমি বাণিজ্যিক ছবির নির্মাতা। অনুদানের ছবিটির কাজ আমি এখনো শুরু করিনি। করব আগামী আগস্ট মাসে। যেহেতু কাজ এখনো শুরু করিনি সেহেতু বলতে পারছি না কি ধরনের প্রতিবন্ধকতা আছে। তবে আমার বিশ্বাস চলচ্চিত্র তো চলচ্চিত্রই, কোনো সমস্যা হবে না।
আমি বাণিজ্যিক ধারার মধ্যে থেকেই একটি ব্যতিক্রমী ধারার ছবি বানাতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক দিনের দাবি ছিল সরকার যেন বাণিজ্যিক ছবিকেও অনুদান দেয়। সরকারের এ বছরের অনুদান অনেকটা তাই। আশা করি আমাদের চলচ্চিত্রের বাজার চাঙ্গা করতে এবারের অনুদান অনেকটা সহায়ক হবে।’ তিনি বলেন, ‘বলছিলাম নির্ভরশীল তারকার কথা। আমার ছবিগুলোতে আমি অনেককে নিয়ে কাজ করছি। আপনি জাহারা মিতুর কথা বললেন।
আমি তাকে নিয়ে যন্ত্রণা ছবিটি নির্মাণ করছি। কিন্তু এক অর্থে তাকে নবাগতই বলা যায়। আমি তাকে নিয়েছি নবাগত হিসেবেই। তিনি আগে দুটি ছবিতে কাজ করেছেন। সেগুলো এখনো মুক্তি পায়নি। সুতরাং তাকে নবাগতই বলা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, আগের মতো তারকা দেখার জন্য দর্শক এখন আর সিনেমা হলে আসে না। আগে তারকাদের ঘরানা ছিল এবং প্রত্যেক তারকার নিজস্ব দর্শক ছিল। শাবানা-ববিতা, সোহেল রানা, আলমগীর, জসিমসহ সব তারকারই দর্শক ছিল। এখন সেটা নেই।’ তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা কোনো দর্শক মিস করতে চাই না। এখন প্রত্যেকের হাতে হাতে সিনেমা হল। দর্শক সিনেমা দেখতে চায়। তাদের মনের মতো করে আমাদেরকে কনটেন্টস তৈরি করতে হবে। এখন ছবি প্রদর্শনের উপযুক্ত ক্ষেত্র হলো ওটিটি প্ল্যাটফর্ম।’