শিরোনাম
◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ২১ জুন, ২০২১, ০১:৩৩ রাত
আপডেট : ২১ জুন, ২০২১, ০১:৩৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্বকৃত নোমান: কোনো উপন্যাসিক কি কোনো একটা উপন্যাস লিখে তৃপ্ত হন!

স্বকৃত নোমান: কোনো উপন্যাসিক কি কোনো একটা উপন্যাস লিখে তৃপ্ত হন? মোটেই না। লেখার আগে বা লেখার সময় মনে হয় অসাধারণ কিছু হতে যাচ্ছে। সেটা নিয়ে তার উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। নিজেকে বাহবা দেয়, নিজের পিঠ নিজে চাপড়ায়। কিন্তু লেখার পর মনে হয় আস্ত একটা ঘোড়ার ডিম হয়েছে। কিংবা সে যা লিখতে চেয়েছিলো তা হয়ে ওঠেনি। তখন নিদারুণ অতৃপ্তি তাকে আবার অস্থির করে তোলে। সেই অস্থিরতা থেকে তার ভেতর তৈরি হয় নতুন উপন্যাসের ভ্রুণ। কথাশিল্পী আহমাদ মোস্তফা কামাল যেমন বললেন, ‘তবু, তবু একটা মনমতো বাক্য যদি লিখে ওঠতে পারি কখনো, যে আনন্দ হয়, তার তুলনা অন্য কিছুতে মেলে না। নিজেকে তখন অমৃতের সন্তান মনে হতে থাকে।’ আমার কী মনে হয় জানেন কামাল ভাই? মনে হয়, সেই ‘একটা মনমতো বাক্য’ আসলে লেখার বীজ। কৃষক যেমন ফসলের বীজ তুলে রাখে; ধান, আলু, মুলা, তুলা বেগুনের বীজ। ওই ‘মনমতো বাক্যটি’ও বীজ। অমৃত। সেই বীজ তাকে আশাবাদী করে তোলে। মনে হয়, তাকে দিয়ে হবে। হওয়ার জন্য সে আবার শুরু করে শিল্পের চাষাবাদ। আবার শুরু করে অমৃতের সন্ধান।

অতৃপ্তিই আসলে সৃষ্টির মূল। মিথ যেমন বলে, ব্রহ্মা পৃথিবী রচনা করলেন। কিন্তু তৃপ্ত হলেন না। সৃষ্টি করলেন প্রজাপতি দক্ষ। তবু তার তৃপ্তি নেই। সৃষ্টি করলেন মর্তের প্রথম মানব মনুকে। আবার ওদিকে খোদা বললেন, হও। অমনি হয়ে গেলো, হয়ে গেলো সুন্দর মহাবিশ্ব। কিন্তু তৃপ্ত তো হলেন না। অতৃপ্তি থেকেই সৃষ্টি করলেন আদম। কোনো ঔপন্যাসিক কি কখনো তৃপ্ত হয়েছিলেন? সেই নজির তো পাই না। সবারই একই বেদনা, অতৃপ্তি। হ্যাঁ, হয়েছিলেন এক কবি ফেরদৌসী। ‘শাহনামা’ রচনাশেষে তিনি কী দৃঢ়তার সঙ্গে লিখলেন, ‘এখন এই যশোকীর্তিনামা শেষ হলো। গোটা ধরিত্রীতে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হচ্ছে আমার নাম। অতঃপর আমি আর মরবো না, চিরজীবী হয়ে থাকবো। কারণ, বীণার বীজ আমি সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছি।’ ফেরদৌসীর মতো আর কেউ কি আছে, যার ছিলো এতোটা আত্মবিশ্বাস? জানি না। আমার মনে হয় যতোক্ষণ ঔপন্যাসিকের অতৃপ্তি আছে, ততোক্ষণ সে সজীব, সচল, সৃষ্টিমুখর। তৃপ্তি এলো তো তার লেখাও চলে গেলো। একই কথা বুঝি প্রেমের ক্ষেত্রেও সত্য। প্রেমিকার প্রতি তৃপ্তি এলো তো, প্রেমিকাকে জীবনের তরে পেয়ে গেলো তো প্রেম চলে গেলো। অতৃপ্তিই প্রেমকে সজীব রাখে। লেখক: কথাসাহিত্যিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়