সমীরণ রায়: [২] শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সামাজিক সেবায় অবদান রেখে যাচ্ছে। তেমনি অবকাঠামোগত উন্নয়নেও আমাদের সেনাবাহিনী অবদান রেখে যাচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্বশান্তি রক্ষায় অবদান রেখে যাচ্ছে।
[৩] তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাতৃভূমির সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাই। এই ধারাবাহিকতায় পরিবর্তিত বিশ্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে শৃঙ্খলা ও পেশাগত দক্ষতা উৎকর্ষ সাধনের দিকে নিবিড়ভাবে মনোনিবেশ করার জন্য সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে আন্তরিক আহ্বান জানাই।
[৪] প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই আধুনিক পদ্ধতি (এমএলআরএমএস) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি সেনা সদস্যদের মানসিক শক্তি ও আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি করবে। আধুনিক এই যন্ত্রটি আমাদের সেনাবাহিনীকে অনেক শক্তিশালী করবে, মনোবল বৃদ্ধি করবে সেনাসদস্যদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করবে।
[৫] তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি-বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অতীতের সাফল্য অব্যাহত রেখে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি যে কোন ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।
[৬] এই টাইগার এমএলআরএমএস অন্যান্য আর্টিলারি সিস্টেমের তুলনায় কম সময়ে একই সঙ্গে দূরবর্তী একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিদ্যমান সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করতে এটি একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।
[৭] রোববার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বহরে যুক্ত হওয়া টাইগার মাল্টিপল লঞ্চ রকেট/মিসাইল সিস্টেম (টাইগার এমএলআরএমএস) এর অন্তর্ভুক্তি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি সাভার সেনানিবাস প্রান্তে যুক্ত ছিলেন।
[৮] সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সাভার সেনানিবাস প্রান্তে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। এ সময় টাইগার এমএলআরএমএস সম্পর্কে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :