শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ২০ জুন, ২০২১, ০৬:২৫ বিকাল
আপডেট : ২০ জুন, ২০২১, ১০:০৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] পারিবারিক বিরোধ ও ছোট বোনের সঙ্গে স্বামীর পরকীয়ার জেরেই বাবা-মা-বোনকে হত্যার করে মেহজাবিন

মাসুদ আলম : [২] রোববার মেহজাবিন ইসলাম মুনকে ৪ দিনের রিমান্ড নেয় কদমতলী থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে মেহজাবিন মুন বলেন, পরিবারের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব ছিল। এছাড়া ছোট জান্নাতুল ইসলামের সঙ্গে তার স্বামীর পরকীয়া ছিল। এ কারণে তিনি বাবা মাসুদ রানা, মা মৌসুমী ইসলাম ও বোন জান্নাতুল ইসলামকে হত্যা করেন। এ হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে মেহজাবিন মনে করেন। এ ঘটনায় শনিবার রাতে নিহত মাসুদ রানার ভাই ও মেহজাবিনের বড় চাচা সাখাওয়াত হোসেন বাদি হয়ে মেহজাবিন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করেন।

[৩] নিহত মৌসুমীর ইসলামের বোন ইয়াসমিন আক্তার বলেন, মেহজাবিনের বিয়ের আগে তাকে সাবেক বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার অ্যাকাউন্টস অফিসার মো. আমিন প্রাইভেট পড়াতেন। সেসময় মুনকে ব্ল্যাকমেইল করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন আমিন। বিষয়টি জানাজানি হলে শফিকুলে সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকে শফিকুল সন্দেহ করতেন আমিনের সঙ্গে মুনের সম্পর্ক এখনও আছে। ২০১৬ সালে আমিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন শফিকুল। হত্যার ঘটনায় শফিকুল ইসলাম, তার শাশুড়ি মৌসুমী, খালা শাশুড়ি শিউলি আক্তার ও স্ত্রী মুনকে আসামি করে মামলা হয়। সেই মামলায় তারা জেলও খেটেছেন। মেহজাবিনের বিয়ের পর জান্নাতুলকে ব্ল্যাকমেইল করে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে শফিকুল। বিষয়টি মেহজাবিন জেনে গেলে শফিকুল মেয়েকে মেরে ফেলার ভয় দেখাত। তাকে মারপিটও করত শফিকুল। মেহজাবিনের ছোট সন্তানও এখনো অসুস্থ।

[৪] একটি সূত্র জানায়, মেহজাবিনের মা মৌসুমী ইসলাম উচ্চবিত্তদের মেয়ে সাপ্লাই দিতেন। আর মেহজাবিন ছিলেন এক নেতার বেডপার্টনার। মা-মেয়ের মধ্যে দেহব্যবসা নিয়ে ঝামেলা চলছিলো। মেহজাবিনকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করতো তার মা। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভ ছিল মেহজাবিনের। বোন জান্নাতুলের সঙ্গে মেহজাবিনের স্বামী শফিকুলের সম্পর্ক রয়েছে বলে তার সন্দেহ ছিল তার। শুক্রবার রাতে মেহজাবিন বাবা-মা ও বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। তবে স্বামী ও পাঁচ বছর বয়সী মেয়েকে অচেতন করলেও হত্যা করেননি। পরে শনিবার সকালে মেহজাবিন ৯৯৯-এ ফোন করে বলেন, ‘তিনজনকে খুন করেছি। এখনই পুলিশ পাঠান। যদি পুলিশ না আসে, তবে আরও দুজনকে খুন করব।’ এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মেহজাবিন পুলিশের কাছে আত্মসমর্থন করেন।

[৪] কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল মেহজাবিনের। হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন তিনি। মেহজাবিনের স্বামী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়