শাহীন খন্দকার: [২]আগামীকাল (সোমবার) থেকে ঢাকায় ফাইজার-বায়োএনটেক উদ্ভাবিত কোভিড টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রোববার করোনা সংক্রান্ত সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অংশ নিয়ে অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) পরিচালক শামসুল হক একথা বলেন। তবে চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যারা করোনা সক্রমণের কারণে দেশে চলে এসেছে, তারা চলমান টিকা কার্যক্রমে অগ্রাধিকার পাবেন।
[৩] তিনি আরও বলেন কোভ্যাক্স থেকে আসা ১ লাখ ৬২০ ডোজ দিয়ে এই কর্মসূচির ফার্স্ট রান শুরু করা হবে রাজধানীর তিনটি হাসপাতালে। এসময়ে শামসুল হক বলেন, ফাইজারের টিকাটি তাপমাত্রা সেনসিটিভ। তাই আমরা প্রাথমিকভাবে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রলিভার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালকে কেন্দ্র করেছি। এই ৩টি হাসপাতালে ভ্যাকসিনটি দেওয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ১২০ জন মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যারা আগে নিবন্ধন করেছেন তারা এখানে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।
[৪] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক (সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হক বলেছেন, এই হাসপাতালগুলোকে কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করে যারা নিবন্ধন করেছিলেন, কিন্তু টিকা নেননি কিংবা পাননি, তাদেরকেই এই টিকা দেওয়া হবে। টিকার টেস্ট রানের ৭ থেকে ১০ দিন পরই ফাইজারের টিকার নিয়মিত কর্মসূচি শুরু করতে পারবো বলে আশা করি।
[৫] পরিচালক বলেন, আমরা জাতীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভ্যাকসিনের কার্যক্রমকে আরও বর্ধিত করতে পারবো। আশা করি তখন ঢাকার আরও কয়েকটি সেন্টারে সেটি চালু হবে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।
[৬] ডা. নাজমুল হক বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের উদ্বোধন করেন। তখন থেকে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে চীন থেকে আমরা সিনোফার্মের ভ্যাকসিন পাই। গত ২৫ মে থেকে সেই ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
[৭] কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজের জন্য যারা অপেক্ষমাণ আছেন, অনেকে দুশ্চিন্তায় আছেন আর ভ্যাকসিন আসবে কি না? তাদের বলতে চাই, আমাদের পাইপলাইনে ভ্যাকসিন আছে, আলোচনা হচ্ছে, আমরা শিগগির ভ্যাকসিন পেয়ে যাব। অনেক কেন্দ্রে এখনো ভ্যাকসিন আছে। যারা অপেক্ষমাণ আছেন, তারা কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে ভ্যাকসিন নিয়ে নিতে পারবেন, বলেন ডা. শামসুল হক। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান
আপনার মতামত লিখুন :