আবু হাসাদ: [২] রাজশাহীর পুঠিয়া বহুল আলোচিত ট্রাক চালক আবু তালেবকে পিটিয়ে হত্যাকান্ডের ৯ মাসের মধ্যে আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন থানা পুলিশ। মামলায় ১৩ জন অভিযুক্তের নাম উল্লেখ থাকলেও পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে ২০ জনের নাম উঠে এসেছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ ১০ জন অভিযুক্তকে আটক করতে পারলেও এখনো পলাতক রয়েছেন ১০ জন।
[৩] বাদীর অভিযো, পুলিশ কতজন অভিযুক্তকে আটক করেছেন বা ঘটনার সঙ্গে জড়িত মোট কতজন তা তাকে জানানো হয়নি। আর আদালতে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার বিষয়টিও তিনি জানেন না।
[৪] মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ট্রাক চালক আবু তালেব হত্যা মামলার চার্জশিট গত ৬ জুন আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। বাদী মামলার এজাহারে ১৩ জন অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করে ছিলেন। কিন্তু আমাদের তদন্তে এই ঘটনার সাথে মোট ২০ জন জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আর এই ঘটনার সাথে জড়িত ১০ জনকে আটক করে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের পলাতক অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।
[৫] নিহত আবু তালেবের স্ত্রী ও মামলার বাদি নারগিস বেগম বলেন, আমি খুবই গরীব মানুষ। আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন তিনি। বর্তমানে ছোট তিনটি ছেলে-মেয়েকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিনপার করছি। থানায় অভিযোগ দেয়ার পর পুলিশ বলেছিলেন তারা আমাকে সঠিক বিচার পাইয়ে দিবেন। যার কারণে এই ঘটনায় কত জন অভিযুক্ত ব্যক্তি আটক হয়েছেন তা আমি জানি না। আর চার্জশিট হয়েছে কিনা বা মোট কতজনের নাম দেয়া হয়েছে তাও আমি জানি না। থানা থেকে আমাকে কিছুই জানায়নি।
[৬] উল্লেখ্য, গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৯টার দিকে ট্রাক চালক আবু তালেব বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ থেকে মালামাল নিয়ে পুঠিয়ার দিকে আসছিলেন। পথে তাহেরপুর এলাকায় আসামাত্র ট্রাকের চাপায় ছাগল মারা যায়। এরপর ওই এলাকার ২০/২৫ জনের একটি দল ট্রাকটিকে ধাওয়া করে বাসুপাড়া এলাকায় আটক করেন। পরে তারা চালক আবু তালেবকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয় লোকজন ট্রাক চালককে মুমূর্ষ অবস্থায় পুঠিয়া হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো অজ্ঞাতনামা ১২ জনকে আসামী করে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছিলেন। সে সময় পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনকে ও পরে বিভিন্ন সময় আরো ৫ জনকে আটক করেছেন। নিহত আবু তালেব বাগাতিপাড়া উপজেলার ওয়ালিপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে। তবে সে গত কয়েক বছর আগে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পুঠিয়ার ঝলমলিয়া তেল পাম্প এলাকায় শ্বশুরবাড়ীতে বসবাস করে আসছেন। সম্পাদনা: হ্যাপি