নুরে আলম: [২] গত ফেব্রুয়ারি মাসে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা সামরিক জান্তাকে নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। সেই সঙ্গে অং সান সুচিসহ রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিবিসি

[৩] আইনগতভাবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব মানা বাধ্যতামূলক না হলেও রাজনৈতিকভাবে এটি গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ পরিষদে মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন স্কোরানের বার্গেনার বলেছেন বড় ধরনের গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সেখানে। তিনি বলেন- সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ কমে আসছে।

[৪] এই প্রস্তাবের পক্ষে সাধারণ পরিষদের ১১৯টি দেশ সমর্থন জানিয়েছে। শুধুমাত্র বেলারুশ বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।অপর ৩৬টি দেশ ভোট দেয়নি যার মধ্যে রয়েছে রাশিয়া ও চীন- যে দুইটি দেশ মিয়ানমারের কাছে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করে।

[৫] ভোটদানে বিরত থাকা দেশগুলোর মধ্যে কোনো কোনো প্রতিনিধি বলছেন, এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। অন্যরা বলছেন, এই প্রস্তাবে চার বছর আগে মিয়ানমারের এগারো লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান জনগোষ্ঠীকে বিতাড়িত করার বিষয়ে কোন কথা বলা হয়নি।