সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ১২ বছর আগের পিছিয়ে পরা বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আলোর পথে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে। ১২ বছর আগের আর আজকের বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অর্জনে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। করোনাকালেও বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে দুইশত মিলিয়ন ডলার এবং সুদানকে ৭.৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে। এতেই বোঝা যায়, বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় পৌছেছে। মাথাপিছু আয় ২২২৭ ডলার, যা কল্পনাও করা যায় না। এই বিশাল অর্জনই বিএনপির গাত্রদাহের কারণ।
[৩] তিনি বলেন, বিএনপি নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের এই অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে চায়। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়নের সুফল জনগণ পেতে শুরু করছে। উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির এই ইতিবাচক ধারা বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপি ও তাদের দোসররা আদজল খেয়ে মাঠে নেমেছে। তারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। তাদের লক্ষ্য অস্থিতিশীলতা তৈরি করে দেশের ইমেজ নষ্ট ও দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা।
[৪] সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যত অন্ধকার বুঝতে পেরে বিএনপি দেশের আলোকিত অভিযাত্রা থামিয়ে দিতে চায়। দেশ-বিদেশে বিএনপি অর্থ বিনিয়োগ করছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও সম্ভাবনা নষ্ট করে দিতে।
[৫] তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অধিকতর শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ। চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের একটি সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। এর সঙ্গে পরাজয়ের কোনো গ্লানি নেই। তেমনি কারো বিজয়েরও উল্লাস নেই। যারা নেতা নির্বাচিত হবেন, তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক দায় বদ্ধতা শেখানোর সততা ও কর্মনিষ্ঠা চর্চার। আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করতে প্রত্যেক নেতাকর্মীকে অতীতের ন্যায় জনবান্ধব ও গণমুখী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে হবে। সব কর্মীকে প্রকৃত সমাজকর্মী ও দেশকর্মী হিসেবে বিকশিত হতে হবে।
[৫] শনিবার চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তাঁর বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুুর রহমান বাবুসহ অন্যান্য নেতারা এতে যুক্ত হন।
আপনার মতামত লিখুন :