আফরোজা সরকার: আঁটি ছোট, আশমুক্ত মিষ্টি সুস্বাদু ও রসাল ফল হিসেবে আমের আধিক্য জনপ্রিয়তার শীর্ষে হাঁড়িভাঙা আম। বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে ।
রংপুরে এ বছর জেলায় ১ হাজার ৮শ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে হাঁড়িভাঙ্গা । এছাড়াও অন্যান্য জাতের আম চাষ হয়েছে ৩ হাজার ২শ ৮০ হেক্টর ।
এ বছর প্রায় একশ কোটি টাকার ওপড় বিক্রি হতে পারে রংপুরের সুমিষ্ট হারিভাঙ্গা আম। বাজারে আসবে জুনের শেষ সপ্তাহে । তবে গেলো বছরের মতো এবারও করোনা সংক্রমণ থাকায় বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে শংকিত আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন বলছে স্থানীয় বাজারসহ দেশের নানা প্রান্তে আম সরবরাহ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আম চাষি মকবুল হোসেন বলেন, বাগানগুলোতে হাড়িভাঙ্গা আমের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে বাগানিরা । লাভজনক হওয়ায় গেল এক দশকে ছাড়িয়ে জেলার মিঠাপুকুর,বদরগঞ্জ ও রংপুর সদর উপজেলায় বেড়েছে এই আমের চাষ ।
আম ক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা রংপুরে মানুষ আঁটির আম খাওয়া ভুলে গেছি। এখন হাঁড়িভাঙ আম ছাড়া এ অঞ্চলের মানুষ অন্য কোন আম খেতে চায় না।
বাগানি আমচাষী তাহের আলী বলেন, বৃৃষ্টি কম হওয়ায় এ বছর আবহাওয়া তেমন একটা অনূকূলে না থাকলেও ফলন খুব একটা খারাপ হয়নি । তবে করোনা সংক্রমণের কারণে কিছুটা শংকিত বাগানিরা ।
তিনি আরো বলেন, ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্তের ব্যবসায়ি ফরিয়াদের হাক-ডাক কিছুটা কম । বাজার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা না গেলে লোকসানে পরার আশংকা করছি।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল জানান, আমের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে বাগানিদের সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আম বাগান চাষী ও ব্যবসায়ীরা ন্যায্য মুল্য পাবেন।
রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান জানান, দেশের নানা প্রান্তে আম সরবরাহ নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। আম চাষীদের শংকিত হওয়ার কিছু নেই। ন্যায্য মুল্য অবশ্যই নিশ্চিত করতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান