শিরোনাম
◈ গাজীপুরে কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে চীনা নাগরিকের মৃত্যু ◈ প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর বাতিল ◈ এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ ◈ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ৪ পুলিশ সদস্যসহ আহত ২০ ◈ মার্চ মাসে সারাদেশে ৬২৪ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৫০, আহত ৬৮৪  ◈ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে: হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ◈ অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৯ সদস্য আটক ◈ পাকিস্তানের মুশতাক আহমেদ বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ ◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৯ জুন, ২০২১, ০১:১০ রাত
আপডেট : ১৯ জুন, ২০২১, ০১:১০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাফর ওয়াজেদ: জামাতিদের হত্যাযজ্ঞ ১৯৭০

জাফর ওয়াজেদ: এটা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আগের একটা ঘটনা যখন পর্যন্ত জামায়াতের ‘মিরজাফরি আলবদর’ উপাধিখানা অর্জন করে উঠেনি। ১৯৭০ সালে ১ নভেম্বরে পাকিস্তানে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে এসেছিলেন পোলান্ডের রাষ্ট্রপতি ম্যারিয়ান স্পিচালস্কি। করাচি বিমানবন্দরে নামার পরই তাকে স্বাগত জানাতে পাকিস্তান সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে যাওয়া বিভিন্ন ব্যাক্তিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছিলেন তখন বিমানবন্দরে একটি ট্রাক তুমুল গতিতে এসে আছড়ে পড়ে তাদের বহরের উপর। হামলার মূল লক্ষ্য রাষ্ট্রপতি ম্যারিয়ান স্পিচালস্কি অল্পের উপর দিয়ে বেঁচে যান। তবে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী জিগফ্রিদ ভোলনিয়াকসহ আরো তিনজন (মোট ৪ জন)। পাকিস্তানে রাষ্ট্রীয় সফরে এসে সহকর্মীর লাশ নিয়ে দেশে ফেরত যান পোলান্ডের রাষ্ট্রপতি। এই কুকর্মটি করেছিলো জামায়াতের সক্রিয় সদস্য ফিরোজ আব্দুল্লাহ। গোলাম আযম নামক ইবলিশটা সেসময় ভাষ্য দিয়েছিল যে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যেন জামায়াতকে জড়ান না হয়। ফিরোজ আব্দুল্লাহ জামায়াতের কেউ নয় বলেও সে বক্তব্য করেছিলো। ডাহা মিথ্যা বলার অভ্যাস এই ছাগ্রামী রাজকার সর্দারের জিনে মিশে আছে। গোলাম মিথ্যে বলে পার পাওয়ার চেষ্টা করলেও ফিরোজ স্বীকারোক্তি দেয় এই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত। সে সজ্ঞানে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। সে জামায়াতে নীতিআদর্শে বিশ্বাসী। আদর্শগত কারনেই সেই হত্যাকাণ্ডকে যৌক্তিক মনে করে ফিরোজ। পাকিস্তান অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে পাগল প্রমাণের চেষ্টাও করে, পরে দুর্ঘটনা বলে প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছিলো কিন্তু সেটা ধোপে টেকেনি। এই হত্যাকাণ্ডের বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে লাশ নিয়ে পোলিশ প্রতিনিধিদল দেশে ফিরে যাবার সময় তাকে সঙ্গ দিতে সামরিক সরকারের রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান তার কেবিনেট মিনিস্টার মাহমুদ হারুনকে বলে যে পোলিশ প্রতিনিধিদলকে পোলান্ড পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আসতে। পোলিশরা বিমানে জায়গা না থাকার কারণ দেখিয়ে তাদের বিমানে সঙ্গে নেয়নি।

ফেসবুক থেকে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়