মুসা কলিম মুকুল: ক্লাব। আহা! বিকেলবেলা ক্লাবের উঠোনে তরুণদের দাঁড়িয়াবান্ধা নয়তো কাবাডি নয়তো ভলিবল খেলা। সন্ধ্যায় ক্লাবের বারান্দায় বড়দের বাঘবন্দী খেলা, দাবা খেলা, অকশন ব্রিজ খেলা। ছাত্রদের প্রবেশ বন্ধ, পড়াশোনার সময় যে। বিজয় দিবসের সন্ধ্যায় হ্যাচাকবাতি জ্বালিয়ে ক্লাবের উঠোনে নাটক। ভাদ্দরমাসে নৌকাবাইচ। একুশে ফেব্রুয়ারির রাতটিই কেবল একটু গোলমেলে। সে রাতে কিঞ্চিৎ চুরিচামারি। কী আর করা? বাগানের ফুল কি আর চাইলেই কেউ দেয়? বর্ষার দিনে ক্লাবের টিনের চাল থেকে চনচন করে পানি পড়ে। হাত বাড়িয়ে পানি ছুঁতে কি আনন্দ! মানুষের বিপদে আপদে প্রথম স্মরণে আসে ক্লাবের আমুদে পোলাপানের কথা। জুলুম, অন্যায়ের সামনে কইলাম, তারা কিন্তুক রুদ্রমূর্তি। পরীমণি, নাসির, অমি ইত্যাদিরা ক্লাবে যায় শুনে খুব সম্মান জেগেছিলো। বাড়ির খেয়ে বনের মোষ তাড়ায়। পরে শুনলাম, ওখানে কাবাডি নেই, দাঁড়িয়াবান্ধা, ভলিবল নেই। দাবা নেই। নৌকাবাইচ নেই। নাটক নেই। টিনের চালে বৃষ্টির গান নেই। যেমন খুশি তেমন সাজো নেই। সবচেয়ে সাহসী, প্রাণচঞ্চল আর হৃদয়বান যুবাটিও নাকি আপনি ওই ক্লাবের সদস্য হতে পারে না। কোটি কোটি টাকা নাকি ডোনেশন দিতে হয়! এমন ক্লাবের মুখে মুতে দাও। আর ওই সব কোটি টাকায়ও মুতে দাও। স্বাস্থ্য, প্রেম আর প্রকাশের সহজ আনন্দের পথে বাধা হয় যে ক্লাব, যে টাকা, যে রাষ্ট্র- তার মুখে মুতে দাও। পরীমনি, নাসির, অমি, টমি ইত্যাদি, তোমরা শুনতে পাচ্ছো? তোমরাও মুতে দাও। চনচন করে মুতে দাও। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :