মো: সাগর আকন: [২] জেলার বেতাগীর মোকামিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম সুজন মল্লিককে নৌকা মার্কার প্রার্থী মো: জালাল গাজীর সমর্থকরা অপহরণের চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
[৩] জনা যায়, আত্মরক্ষার জন্য সে থানায় আশ্রয় নিয়েছেন। নৌকা মার্কার কর্মীদের দ্বারা স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ কর্মীদের নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগও করেছেন তিনি। ওই ঘটনায় বেতাগী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে সুজন মল্লিক।
[৪] এদিকে অপহরণ চেষ্টার খবর শুনেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বরগুনার পুলিশ সুপার। পরে থানায় ফিরে চেয়ারম্যান সুজনের নিরাপত্তার জন্য পুলিশি নিরাপত্তা দিয়েছে পুলিশ সুপার।
[৫] স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: মাহবুবুল আলম সুজন মল্লিক জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্যক্তিগত কাজ শেষে বরিশাল শহর থেকে বরগুনার বেতাগীর তার নিজ বাড়িতে ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস নিয়ে ফেরার পথে তিনি জানতে পারেন তাকে অপহরনের জন্য কাছারি বাড়ি এলাকায় যুবলীগ কর্মীরা ভাড়াটে সন্ত্রাসীসহ তাকে অপহরনের জন্য পরিকল্পনা করে বেতাগীতে অবস্থান নিয়েছেন।
[৬] তিনি বেতাগীর ওসিকে ঘটনা মুঠোফোনে জানালে ওসি তাকে সামনের দিকে আসতে নিষেধ করেন। পুলিশ তাকে নিরাপদে পৌছে দেয়ার জন্য পুলিশ না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। এর মধ্যে একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার তার গাড়ির সামনে গিয়ে থামিয়ে অস্ত্রসহ কয়েকজন তার ড্রাইভারের কাছাকাছি আসলে ড্রাইভার কৌশলে জীবনের ঝূঁকি নিয়ে গাড়ি চালিয়ে বেতাগী থানায় এসে গাড়ি থামায়।
[৭] তবে পিছনে ধাওয়া করে ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে যায় অপহরনকারীরা। চেয়ারম্যান সুজনের দাবী, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা মার্কার প্রার্থী মো: জালাল গাজীর নির্দেশে তার সমর্থকরা অপহরণের চেষ্টা করেছেন। এরপর সে বেতাগী থানায় আশ্রয় নিয়েছেন।
[৮] তিনি আরও বলেন এরকম পরিবেশ থাকলে নির্বাচন করা সম্ভব না। তারা হুমকি দিয়েছে আমার বাচ্চা আমার সন্তানদের তুলে নিবে। এমতাবস্থায় আমি আমার পরিবার এবং আমার সর্মথকরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। আমি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। নির্বাচনী মাঠে সমানভাবে সমঅধিকার চাচ্ছি।
[৯] অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে নৌকা মার্কার প্রার্থী মো: জালাল গাজী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন।
[১০] বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, আমাদের সার্বক্ষণিক একটি টিম ওখানে কাজ করছে। আমাদের পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে। মাহাবুবুল আলম সুজনকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে মর্মে ইতোমধ্যে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। রাতেই আমরা চেয়ারম্যান সুজনকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে তার নিজ বাড়িতে পাঠিয়েছি। এর আগেও সুজন চেয়াম্যানের কর্মীদের কুপিয়েছিলো নৌকা সমর্থকরা। তখনও মামলা হয়েছে। সেসব আসামীদেরও গ্রেপ্তারে কাজ করে যাচ্ছে তারা।
[১১] ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, আমরা সব পর্যবেক্ষণ করছি। তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। আচরনবিধি লঙ্ঘন করলে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিবেন। তবে ফৌজদারী অপরাধ কেউ করলে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিবেন। নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে সতর্ক এবং কঠোর থাকবেন তারা।