হারুন-অর-রশীদ : [২] বর্ষার আগমনে ফরিদপুরের বিভিন্ন নদ-নদীতে বাড়ছে পানি। তাইতো বর্ষাকে ঘিরে জেলার নৌকার কারিগরদের সময় কাটছে মহাব্যস্ততায়।সাথে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় তৈরী হচ্ছে নৌকা। পানি আরেকটু বেশি হলে আরো কদর বাড়বে এসব নৌকার।
[৩] তাইতো বসে নেই নৌকা তৈরীর কারিগররা। চলছে নৌকা তৈরী ও মেরামতের ধুম। এছাড়া ফরিদপুরের নদীবেষ্টিত এলাকায় মৌসুমি ডিঙ্গি নৌকা তৈরিতেও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে মাঝি ও কারিগররা।
[৪] গত কয়েক দিনের বর্ষণে পানি প্রবেশ করেছে নদ-নদীতে। তাইতো নদীতে মাছ ধরা, এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা হয় নৌকা। নদীতে নতুন পানি আসার সাথে সাথে বিল অঞ্চলে ধুম পড়েছে নতুন নৌকা বানানোর তোর-জোর।
[৫] নৌকার পাঁশাপাশি জেলে সম্প্রদায়ের লোকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে জাল বুনানোর কাজে। নতুন নৌকা আর জাল দিয়ে মাছ ধরতে নামবেন জেলেরা। তাইতো নৌকায় যেন জেলেদের আশা আকাঙ্ক্ষা আর সংসার চালানোর একমাত্র হাতিয়ার।
[৬] ফরিদপুরের ভাঙ্গার নৌকা তৈরির কারিগর সঞ্জিব মন্ডল বলেন,এখন ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে জেলেদের মাছ ধরার নৌকা বানানোর কাজে । চাহিদা মোতাবেক ছোট-বড় বিভিন্ন রকম নৌকা বানাতে হয়। নৌকাগুলো ৬ থেকে ৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
[৭] পরিতোষ মন্ডল নামের আরেক ব্যাক্তি বলেন,আমি ছোট থেকেই নৌকা তৈরির কাজে জড়িত। নৌকা তৈরি করার পাঁশাপাশি নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি।
[৮] সালথার আটঘর এলাকার বিনোদ কুমার সরকার বলেন, আগে ভালো ভালো কাঠ দিয়ে নৌকা তৈরি করা হতো। এখন কড়ই,বাবলা দিয়েই বেশি নৌকা তৈরি করা হয়। নৌকা তৈরিতে কাঠ ছাড়াও মাটিয়া তৈল,আলকাতরা, তারকাঁটা,গজাল, পাতাম ইত্যাদি লাগে,যা নৌকাকে দীর্ঘদিন টেকসই রাখে।
[৯] ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে অধ্যক্ষ প্রফেসর মোশার্রফ আলী বলেন, বর্ষা এলেই নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করে মিস্ত্রিরা। এক সময় গ্রামগঞ্জে পণ্য পরিবহণ ও যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌকা। ফরিদপুরের বুক চিরে বয়ে চলা নদীতগুলোতে কিংবা হাটবাজারের আশেপাঁশে চোখে পড়তো সারি সারি নৌকা। তবে কয়েক বছর থেকে সেই দৃশ্য তেমন আর চোখে পড়ে না।
আপনার মতামত লিখুন :