সমীরণ রায়: [২] গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ৩ হাজার ৬৯০ একর জমির ওপর রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। পার্কটি দর্শণার্থীদের ব্যাপক সাড়া ফেলে। এ পার্কে রেকর্ডভুক্ত প্রায় ৭০ প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে। তবে করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে পার্কটি। ফলে পার্কের পরিবেশটি বন্য প্রাণীদের জন্য খুবই উপযোগী হয়ে উঠেছে। নির্ভয়ে পার্কের ভেতর দলবদ্ধভাবে ঘোরাফেরা করছে প্রাণীরা। প্রাণীগুলো ঘন-ঘন লেজ নাড়াচ্ছে আর ঘাস খাচ্ছে। দলবেঁধে গরুগুলো সবুজ গাছের ছায়ায় বসে জাবর কাটছে। বড়-ছোট গাছের ডালে বসে বন্য প্রাণীগুলো একটি আরেকটির সঙ্গে আনন্দ করছে। ময়ূরগুলো মনের আনন্দে পেখম খুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছানাগুলো মুরগির বাচ্চার মতো ঘুরছে। সূত্র: বাসস
[৩] কৃত্রিমভাবে তৈরি করা লেকে নেমে লাফালাফি করছে প্রাণীগুলো। তাই জেব্রা, জিরাফ, বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ, বানর, উটপাখি, হাতি, ময়ূর, বন গরু, পার্কে দলবেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তৈরি করা লেকগুলোতে উন্মুক্ত রয়েছে কুমির, কাছিম, জলহস্তি, গণ্ডার, রঙ্গিন মাছসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী। তবে বেষ্টনীতে কাজ চলমান থাকায় উন্মুক্ত হিংস্র বাঘ, সিংহ, ভাল্লুকসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীকে বন্দি অবস্থায় রাখা হয়েছে।
[৪] কৃত্রিমভাবেও অনেক পশুপাখি এখানে বসবাস করতে শুরু করেছে। পার্কের একটি অংশ গহীন বন-জঙ্গলে ঘেরা। সেখানেই প্রাকৃতিকভাবে বসবাস করতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও বন্যপ্রাণীরা।
[৫] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান বলেন, করোনায় পার্কটি বন্ধ রয়েছে। পার্কের পরিবেশটি বন্য প্রাণীদের জন্য খুবই উপযোগী। এসব প্রাণী নির্ভয় পার্কের বনের ভেতর ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রাণীগুলো দলবদ্ধভাবে ঘোরাফেরা করছে। এদের মধ্যে হরিণ, জেব্রা, জিরাফ, বানর ও হাতিসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী।
আপনার মতামত লিখুন :