মিনহাজুল আবেদীন: [২] দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত দেড় বছর যাবত সরকার ধাপে-ধাপে যেসব বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে তাতে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এনজিওগুলোর ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ এবং আদায় কার্যক্রম। বিবিসি বাংলা
[৩] এনজিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোভিড মহামারির কারণে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এসেছে যে ছোট ছোট অনেক এনজিও তাদের কার্যক্রম বন্ধ করার দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে।
[৪] সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মুদি দোকানি রুবেল মোল্লা বলেন, গত মাস খানেক ধরে কিস্তি দিতে পারছি না। কারণ ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছি না, ইনকাম নেই। তারপরেও এনজিওগুলোর টাকা যেভাবেই হোক ম্যানেজ করে দিতে হয়।
[৫] রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে যদি কোনও জোরজবরদস্তির ঘটনা ঘটে তাহলে বিষয়টি যেন জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এনজিও সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সুরাহা করা হবে।
[৬] সংস্থাটির সিনিয়র ডিরেক্টর শামেরান আবেদ বলেন, ঋণের কিস্তি আদায়ের জন্য তাদের দিক থেকে কোন চাপ নেই। তবে ঋণ আদায় কম হওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিক চাপে পড়েছে।
[৭] তিনি বলেন, গত বছর লকডাউনের সময় ব্র্যাক-এর ঋণ আদায় কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ ছিলো।
[৮] উত্তরাঞ্চল-ভিত্তিক বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ এনজিও ঠেঙ্গামারা মহিলা সমবায় সমিতির নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বলেন, ছোট এনজিওগুলো বন্ধ হয়ে যাবার দ্বারপ্রান্তে এসে ঠেকেছে।
[৯] তিনি বলেন, এভাবে কন্টিনিউ করলে টিকে থাকতে পারবে না। আমাদের সঙ্গে অন্তত ৩০টির বেশি ছোট এনজিও আছে যাদেরকে আমরা ক্যাপিটাল দিয়েছি। তারা তো টিকতেই পারছে না। একদম তারা বন্ধ করে দিয়েছে, কোন কাজই করছে না। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :