ইমরুল শাহেদ: তিনি বলেন, ‘কোভিড শুরু হওয়ার পর থেকে বাড়িতেই থাকছি।’ একেবারেই কোথাও যাওয়ার জন্য বের হন না। তিনি বলেন, ‘বিকেলের দিকে জিন্নাহ আর আমি জগিং করি। সেটাও আমার ঘরের ভিতরেই। দরকারি সব কথা টেলিফোনেই সেরে নেই।’ চম্পার ওয়ান-ইউনিট ফ্ল্যাটটি আয়তনে বিশাল। চম্পা জানান, তার বাড়িটি এক চক্কর দিতেই দুই থেকে আড়াই মিনিট সময় লেগে যায়। এখানে তিনি প্রতিদিন ঘড়ির কাঁটা ধরে এক ঘন্টা হাঁটাহাঁটি করেন। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার আগে একবার আমার ব্যাংকক যাওয়া হয়েছিল।
সেখান থেকে ফেরার পর থেকেই ঘরে আছি। ববিতা আপার বাসায়ও যাওয়া হয় না। এক পহেলা বৈশাখে দুই বোন একসঙ্গে বসে খেয়েছি। আর খাওয়া হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘আমার বড় বোন সুচন্দার হার্ট অপারেশনের সময় প্রথম দিন থেকে এক মাস তার সেবা করার জন্য তার বাসায় ছিলাম।’ এছাড়া তিনি বলেন, ‘করোনার প্রকোপ কমার এক পর্যায়ে বারিধারায় সপ্তাহে একদিন আমার মেয়ে এশার বাসায় যেতাম। আমি থাকি গুলশানে। কাছাকাছি আছে। সেখানে নাতি-নাতনীদের সঙ্গে কিছু ক্ষণ খেলাধূলা করে বাসায় ফিরতাম।’ করোনার প্রভাব আবার বেড়ে যাওয়ায় এখন সেটাও তিনি বন্ধ রেখেছেন বলে জানালেন। তিনি বলেন, ‘আমার বাসার রান্নাবান্না আমি দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করি।
কোনো কোনো আইটেমকে একাধিক ধুইয়ে নেই।’ চম্পা উল্লেখ করেন, বাইরে কিছু আনা হলেও ভালোভাবে দেখেশুনে তিনি ঘরে ডুকান। বিশেষ করে ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট আসার পর তিনি আরো বেশি সতর্ক হয়ে উঠেছেন। এখন সব ধরনের বহির্যোগাযোগ একেবারেই বন্ধ রেখেছেন চম্পা। ব্যক্তিগত এসব আলোচনার পাশাপাশি চম্পার সঙ্গে ক্যারিয়ার নিয়েও আলোচনা হয়। তিনি বলেন, ‘আমার দুটি ছবির কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। ছবি দুটি হলো জ্যাম ও শান।’ চম্পা উল্লেখ করেন, শান ছবিতে অরুণা বিশ্বাস ও তিনি একসঙ্গে দীর্ঘদিন পর কাজ করেছেন। দু’জনে মিলে বেশ মজা করেছেন বলেও জানালেন। ইতোমধ্যে তিনি বেশ কিছু ছবির অফার পেয়েছেন। কিন্তু সব অফার ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। করোনার মধ্যে কাজ করবেন না।
আপনার মতামত লিখুন :