শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৮ জুন, ২০২১, ১২:৫৫ দুপুর
আপডেট : ১৮ জুন, ২০২১, ০৬:৩৯ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ছবিটিতে কে আছেন দেখে এক সময় চলচ্চিত্রে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসতেন প্রদর্শকরা

ইমরুল শাহেদ: চলচ্চিত্র ব্যবসায়ের বাঁক অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে গেছে। চূড়া থেকে ব্যবসা পৌঁছে গেছে তলানিতে। এখান থেকে উত্তরণের চেষ্টা করা হলেও পথ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এখানে পরামর্শ দাতা আছেন। কিন্তু বাস্তবায়নে উদ্যোগী নেই কেউ। দর্শক পছন্দের ছবি বানাতে এগিয়ে আসছেন না কেউ। আগে তারকার নামেই ছবি বিক্রি হতো।

এই রিপোর্টারের অভিজ্ঞতা বা দেখা থেকে একটি ঘটনা উল্লেখ করা যায়। তখন সওদাগর, নরমগরম ও আবেহায়াৎ ছবি করে অনজু ঘোষ দর্শক পছন্দের তুঙ্গে উঠে গেছেন। প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে গেছেন রোজিনা। পরিচালক এফ কবীর চৌধুরী একদিন এই রিপোর্টারকে স্টার ফিল্মস কর্পোরেশনের একটি ছবির গানের শুটিংয়ে নিয়ে গেলেন ন্যাশনাল পার্কে। সেদিন ছবিটির মহরতও অনুষ্ঠিত হয়। ছবিটির নাম আজ আর মনে নেই। তবে সেই সময়ে স্টার ফিল্মস কর্পোরেশন বলে কথা নয়, যে কোনো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ছবির মহরতেই আলোচিত প্রযোজক ও স্টারের একজন অংশীদার এইউএম খলিলুল্লাহ খানকে নিমন্ত্রণ করা হতো। কিন্তু সেদিনের মহরতে তিনি ছিলেন না। দূরে বলে যাননি তিনি।

এফ কবীর এই রিপোর্টারকে সেটাই বলেছেন। পরিচালক এফ কবীর চৌধুরী ইউনিট নিয়েই মহরতের কাজ শেষ করলেন। ক্ল্যাপস্টিক দেওয়ার পর টেপরকর্ডারে গান বেজে উঠলো। গানটির চিত্রায়নের জন্য কোনো কোরিওগ্রাফার ছিলেন না। তবে ‘ডিউপসিট’ অনুসারে অনজু নিজেই নেচে যাচ্ছিলেন। শুটিংয়ের এক পর্যায়ে দেখা গেল, তিনজন অচেনা লোক ব্রিফকেস হাতে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছেন।

এফ কবীর চৌধুরী তাদের পরিচয় জানতে চাইলে, জানালেন তারা প্রদর্শক। কেন এসেছেন? ‘টাকা নিয়ে এসেছি। আমরা ছবিটি বুকিং দিতে চাই। যদি টাকাটা গ্রহণ করেন, তাহলে আমরা ছবিটি পাচ্ছি এমনটা নিশ্চিত হয়ে ফিরতে পারি।’ এফ কবীর চৌধুরী বলেন, ‘আমি ছবিটির পরিচালক। মালিক স্টার ফিল্মস। আমিতো আপনাদের টাকা রাখতে পারব না। আপনারা খলিল ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’ তারা জবাবে বললেন, ‘উনার ব্যবসা আমাদের অপজিশনের সঙ্গে। ছবিটা আমরা পাব না। তবে অনজু ম্যাডাম এবং আপনি যদি বলে দেন তাহলে হয়তো পেতে পারি।’ এফ কবীর বলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের লোকেশন থেকে বিদায় করেন। সেদিনের সেই মুখরতা এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। সংকট উত্তরণে কোনো কান্ডারি নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়