শিমুল মাহমুদ: [২] চলতি বছরের ‘মে’ মাসের শেষ সপ্তাহ ও জুনের প্রথম সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন করোনা ল্যাব ও হাসপাতাল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ৬০ টি জিনোম সিকোয়েন্স করে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআরবির। এই নমুনাগুলোর মধ্যে চারটি দেশের ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে যার মধ্যে ৪১ টি নমুনায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
[৩] এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনলজি বিভাগ ও আইসিডিডিআরবির যৌথ পরিচালনায় চট্টগ্রাম বিভাগে ৮২টি নমুনা সংগ্রহ করে ৪২টির জিনোম সিকোয়েন্স করেন গবেষকরা। যার মধ্যে দুটি নমুনায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
[৪] এরআগে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইন্সটিটিউট বা আইইডিসিআর-এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৮০ শতাংশ ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। নমুনা নেয়া হয় ঢাকা, গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং খুলনা। তখন ঢাকায় শহরের চারটি নমুনার মধ্যে দুইটি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়।
[৫] গবেষকরা জানান, ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট যাদের মাঝে শনাক্ত হয়েছে তারা ভারতফেরত কারও সংস্পর্শে আসেননি। আমরা ধারণা করছি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কমিউনিটি সংক্রমণ শুরু হয়েছে। আমাদেরকে এখন থেকেই সচেতন হতে হবে।’
[৬] এ পর্যন্ত ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের ৬০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ধরনটিসহ সব ভারতীয় ধরণকে ‘উদ্বেগের ধরন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। ভারতীয় এ ধরনটি ৫০ শতাংশেরও বেশি সংক্রমণের সক্ষমতা রাখে। ভ্যাকসিন পরবর্তী ‘সেরাম এবং মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি’ এ ধরনকে কম শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয় করতে পারে।