শেখ ফরিদ:[২] সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন তিনজন ও দেবহাটার পারুলিয়ায় বাড়িতে চিকিৎসাধিন একজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এনিয়ে সাতক্ষীরায় করোনায় মারা গেলেন ৫৫ জন। উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন ২৫৫ জন। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৮৮ জনের করোনা পজেটিভ হয়েছেন। পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ৪৭ দশমিক ৩১ শতাংশ।
[৩] এদিকে, সাতক্ষীরায় চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে গত ৫ মে থেকে জেলায় প্রথম পর্যায়ে সাতদিনের লকডাউন শুরু হয়। এরপর ১১ মে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৭ মে পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল।সাতক্ষীরা সিভিল সাজর্ন ডা. মো. হুসাইন সাফায়াত জানান, করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জেলায় তৃতীয় মেয়াদে চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ২৪ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউন বহাল থাকবে।
[৪] উপসর্গ নিয়ে মৃতরা হলেন, কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের মাহফুজা বেগম (৪৫), সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়া এলাকার আবুল হোসেন (৬০), শ্যামনগর উপজেলার জয়নগর গ্রামের ইয়াসিন মোল্লা (৬৫)। এছাড়া দেবহাটার পারুলিয়া জেলেপাড়া গ্রামের অজয় মন্ডল নামের একজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
[৫] এ পর্যন্ত জেলায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৯৯ জন। লকডাউনের ১৪তম দিনে সাতক্ষীরায় বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। গতরাত থেকে সাতক্ষীরায় প্রচুর পরিমানে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত জানান, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে করোনা চিকিৎসার জন্য ১৫০ টি বেড রয়েছে।
[৬] খুব দ্রুত আরো ৫০ টি বাড়ানো হবে। এছাড়া সদর হাসপাতালে নতুন করে আর কোন করোনা রোগী ভর্তি করা হবেনা বলে জানান তিনি। যারা বর্তমানে ভর্তি রয়েছে তাদের চিকিৎসা সেবা শেষ হলে ছেড়ে দেয়া হবে। তিনি এ সময় জেলা বাসীর কাছে সরকারে দেয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন