কূটনৈতিক প্রতিবেদক:[২] জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে রোডম্যাপ চেয়ে ভাসানচর পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
[৩] বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, বৈঠকে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘসময় ধরে অবস্থানের নেতিবাচক দিক বিভিন্ন দিক এবং ওই এলাকায় বসবাসরত মূল জনগোষ্ঠীর ওপর বিরূপ প্রভাবের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
[৪] রোহিঙ্গাদের আমরা মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দিয়েছি উল্লেখ করে মোমেন বলেন, গত চার বছরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি। দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু না হলে এ অঞ্চল এবং এর বাইরেও অস্থিরতা তৈরি হবে।
[৫] ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের অর্থনৈতিক কাজে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। জাতিসংঘ যাতে ভাসানচরে মানবিক সহায়তা দেয়, সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
[৬] মিয়ানমারে যাতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা যায় এবং অচিরেই যাতে প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়, সেজন্য জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রসহ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের সব অংশীজনদের সঙ্গে বিশেষ দূত যোগাযোগ ও আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।